১, বয়ানের জীবনে অালহামদুলিল্লাহ্ যে কোন অালোচক মঞ্চে চলে অাসলে অার একটি কথাও বলার চেষ্টা করিনি, চায় তিনি ছোট কিংবা বড় হোক। সম্মান দেখিয়ে বয়ান শেষ করে দেয়।
২, কখনও কোন মুরুব্বী অালোচকের সাথে বেঅাদবী করিনি। ছোটদের সাথেও খারাপ অাচরণ করিনি।
৩, কখনও কোন অালোচকের ক্ষতি করিনি, চেষ্টা করেছি উপকার করার জন্য।
৪, মাহফিল রেখে যাইনি, অামার জীবনে এমন ঘটনা অতি নগন্য। ৭বছরের বয়ানের জীবনে সর্বোচ্চ ৭টি মাহফিল মিস করেছি কি না সন্দেহ।
৫, মাহফিল রেখে কেটে দেওয়ার মতো বদ অভ্যাসও নেই অামার অালহামদুলিল্লাহ্, বড় কোন সমস্যা না হলে কাটিনি, তাও জীবনে ৩/৪ বারের বেশী হবে না।
৬, যদি একান্তই বড় কোন সমস্যার কারণে মিস করতে হবে বুঝতে পেরেছি, কর্তৃপক্ষের মন রক্ষা করেই করেছি। কষ্ট দিয়ে নয়।
৭, মাহফিল ছোট হোক অার বড় হোক, সুবিধার হোক অার অসুবিধার হোক, ফায়নালি রেখে দেওয়ার পর সারা দুনিয়ার সবকিছুর বিনিময়েও ক্যান্সেল করতে অামি রাজি নয়।
৮, একটানা ৭ বছর হলো ময়দানে চাহিদাও অালহামদুলিল্লাহ্ কম নয়, বরং প্রতিবছর দিন দিন যেন বৃদ্ধিই হচ্ছে। সারাদেশেই সফরের সুযোগ হয়েছে। এ নিয়ে কখনও অহংকার করিনি, অালহামদুলিল্লাহ্।
৯, মাহফিলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া বিশ্রামের জায়গার বিষয়ে কোথাও কখনও কোন অাপত্তি করিনি। বরং বয়ানের পর ক্ষমা চেয়েই বিদায় হয়েছি।
১০, মনের বিপরীত হওয়ায় বয়ান না করেই রাগ করে চলা অাসার ঘটনাও জীবনে ঘটেনি। সবকিছু মেনে নিয়ে যেটা বলি, যা হয় অাল্লাহ থেকেই হয়। শুকরিয়া সব রব্বে কাবার।
১১, কার নাম উপরে দিলো অার কার নাম নিচে দিলো সেটাও খুব দেখিনা, অবশ্য সিনিয়র জুনিয়র হিসেব করে নাম দেওয়াটাকেই পছন্দ করি, সমর্থন করি।
কিন্তু ইদানিং কিছু মিডিয়া নির্ভর নতুন জনপ্রিয় অালোচকদের কার্গুজারি শুনলে এবং অাচরণ দেখলে অাফসুস হয়, মন চায় মাহফিলের ময়দান থেকে নিজেকে সড়িয়ে নেই, অবশ্য এ নিয়ে প্রায়ই বন্ধু বান্ধবদের সাথে বলি এবং ভাবি কিভাবে নিজেকে ময়দান থেকে সড়াতে পারি।
অাল্লাহপাক সবাইকে ক্ষমা করুন। নায়েবে নবীদেরকে নবীওয়ালা কাজ নববী অাখলাকের সহিত করার তৌফিক দান করুন।
আমজাদ হোসাইন আশরাফী
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!