তারাবীহতে মাঝেমাঝে নিজের অজান্তেই মন হারিয়ে যায়, সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর নানা জায়গা নানা প্রান্তর ঘুরে আসি, ইমাম রুকুতে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বললে তখন সম্বিত ফিরে পাই অথচ পুরো সালাত চলাকালীন সময়ে ইমাম যদি কোনো আয়াতের সিকোয়েন্স হারিয়ে ফেলে, পিছনে থাকা তার সহকারী হাফিজে কোরআন মুহূর্তের মধ্যে সংশোধন করে দেয়। আমি মাঝেমধ্যে অবাক বিস্ময়ে ভাবতে থাকি একটানা এতটা সময় এতো নিখাদ মনোযোগ তারা ধরে রাখেন কিভাবে?
পুরো কুরআন মুখস্ত করার বিষয়টিতো আমার কাছে অবিশাস্য এক ব্যাপার মনে হয়। শত প্রিপারেশন নিয়েও 'জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং' 'বায়োটেকনোলজি' বায়োলজি মরিকুলার-বায়োলজি, এই সব টার্মিনোলজির সামান্য একটা ডেফিনেশন ১০০% বইয়ের মতো করে পরীক্ষার হলে গিয়ে লিখতে পারি নাই, অথচ সমাজের চোখে তুচ্ছ, দরিদ্র, মলিন বেশের একটা ছেলের এতো বড় একটা বইয়ের পুরোটা মুখস্থ, এটা একটা বিষ্ময়কর, অলৌকিক ঘটনা।
নিজেদের বিশাল জ্ঞানী মনে করা কলা-বিজ্ঞানীদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে দেখবেন বলবে এটা আর এমন কি!! অথচ এদের পুরো মগজ ঘাঁটলেও 'আমপাতা জোড়া জোড়া' আর 'ওই দেখা যায় তাল গাছ' ছাড়া মুখস্থ আর কিছু বের হবে না। কলা-বিজ্ঞানীরা এসব মিরাকিউলাস ঘটনা নিয়ে ভাবে না, হয়তো ইচ্ছা করেই ভাবে না, ভাবলে যদি আবার সঠিক পথ পেয়ে যায়।
--সম্মানিত বায়োলজিস্ট ডাক্তার সাইফুর রহমান
আল্লাহ আকবার
ReplyDelete