Thursday, February 7, 2019

একজন হানিফ স্বামীর আহলে হাদিস স্ত্রীর সাথে বিতর্কের চিত্তাকর্ষক কাহিনী "বিয়ের প্রথাম দশ রাত" (চতুর্থ রাত:)

সুহাইল কামরায় অপেক্ষায় ছিল ৷ এমন সময় দুলহান মুখ ভার কর্ থা ঝুঁকিয়ে কামরায় প্রবেশ করল এবং সোফার এক কোণে মাথা ঝুঁকিয়ে বসে পড়ল।
সুহাইল : মনে হয় আপনার ডাল গলেনি ৷ আমার আজ পূর্ণ বিশ্বাস হল!
দুলহান : (ক্ষীণ স্বরে) কোন বিষয়ের?
সুহাইল : আমার লোহাবিক্রেতা বন্ধু বলতেন, আমাদের উস্তাদের ইলম লোহার চেয়েও বেশী মজবুত ছিল ৷
দুলহান : আচ্ছা, আপনার বন্ধুর উস্তাদ কে ছিলেন?
সুহাইল : হযরত মাও, আমীন সফদর উকাড়ুভী রহ. | একথা শোনা মাত্রই দুলহান বেহশের মত হয়ে যাচ্ছিল ৷ মনের অজান্তেই তার মুখ হতে বের হয়ে গেল, "সত্যিই ম্যাডাম ঠিক বলছিলেন"
সুহাইল' : জিজ্ঞেস করল, কী ঠিক বলছিল?
দুলহান : না, বাদ দেন ৷
সুহাইল : না, বাদ দেয়া নয় ৷ বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেয়া ঈমান ও সহনশীলতার পরিচায়ক ৷
দুলহান : ম্যাডাম বলছিলেন, মাও, আমীন আমাদের উলামাদেরকে বে-ইজ্জতী করে ছেড়েছেন ৷ প্রত্যেক ময়দানেই তাদের নাক কেটে দিয়েছেন ৷ এখন তার শাগরেদরা আমাদেরকে ও অপদস্থ করছে ৷ আমাদের শাগরেদ তো দূরের কথা আমরা নিজেরাও তাদের কাছে অপদস্থ !
দুলহান বলল, এখন আলোচ্য বিষয়ের দিকে আসুন ৷ বুখারীতে আছে হযরত ইবনে উমর রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্পামকে দেখেছি তিনি যথন তাকবীরে তাহরীমা বলতেন, তখন রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন৷ এমনিভাবে রুকুতে যাওয়ার সময় এবং রুকু হতে উঠে রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন ৷ নিন আমি বুখারী হতে দলীল পেশ করলাম যা কিতাবুল্লাহর পর সব চেয়ে সহীহ কিতাব ৷ (এটা বলে দুলহান খুশীতে সুহাইলের দিকে বিজয়ীবেশে হাত বাড়াল এবং বলল,) আপনিও রাফয়ে ইয়াদাইন না করার এ রকম হাদীস দেখান ৷ এখন কোনটা দুধ আর কোনটা পানি তা দেখা যাবে ৷
সুহাইল : মনে হয় আপনি বংশীয়ভাবে গায়রে মুকাল্পিদ ৷ কারণ, মিথ্যার উপর মিথ্যা বলা তাদের কু-অভ্যাস ৷
দুলহান : আমি মিথ্যা বলেছি?
সুহাইল : জ্বী হা! 'বুখারী কিতাবুল্লাহর পর সব চেয়ে সহীহ কিতাব এটা কুরআনে আছে না হাদীসে! নাকি শুধু ইবনে সালাহ্ এর তাকলীদ করে মুশরিক হচ্ছেন? অথচ ইবনে সালাহ এর উস্তাদ ইমাম শাফে'য়ী রহ 'মুয়ান্তায়ে ইমাম মালেক" রহ, কে সব চেয়ে সহীহ কিতাব বলেছেন! হানাফী আলেমগণের কোন উসূলে হাদীসের কিতাবে বুখারীকে "কিতাবুল্পাহর পর সব চেয়ে সহীহ কিতাব" বলা হয় নি ৷ যদি দেখাতে পারেন পুরস্কার দশ লাখ ৷ তারপর এর দ্বারা আপনার দলীলও প্রমাণিত হচ্ছে না৷ কারণ, এই হাদীসে রাফয়ে ইয়াদাইনকে না সুর্লাত বলা হয়েছে ৷ আর না এটা আছে যে, হুযূর সান্পাল্লাহ্ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত রাফয়ে ইয়াদাইন করেছেন ৷ আর না এটা আছে যে, যে রাফয়ে ইয়াদাইন করবে না তার নামায হবে না!
সুহাইল : মুসলিম শরীফের রেওয়ায়াত শুনুন! হযরত জাবের ইবনে সামুরা রা, বলেন, আমরা নামাঘরত অবস্থায় ছিলাম ৷ ইত্যবসরে হুযূর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরীফ আনেন এবং বলেন : (ما لي ارا كم رافعي ايديكم كا نها اذناب خيل شمس اسكنو افي الصلوة) 'তোমরা নামাযে ঘোড়ার লেজের ন্যায় হাত নাড়াইও না ৷ ধীরস্থির হয়ে প্রশান্তির সাথে নামায আদায় কর! আমি কুরআন হাদীস উভয়টা দ্বারা রাফয়ে ইয়াদাইন না করা প্রমাণিত করলাম | আপনি এখনও নিজ দাবীর পক্ষে কোন দলীল পেশ করতে পারেন নি৷ আপনাকে ৩১৯টি মাফ করে দিলাম ৷ শুধুমাত্র একটি হাদীস পেশ করুন যা দাবী অনুযায়ী সনদের দিক থেকেও সহীহ হবে! (সুহাইল বলতে থাকে |) এদিকে দুহলান চিন্তা ও পেরেশানীতে নিজের অজান্তেই আহল কামড়াতে থাকে | আর তা থেকে রক্ত বের হতে থাকে সুহাইলের এক শ্বাসে এত লম্বা তাকরীর শোনে কপাল থেকে ঘাম মুহতে মুছতে বলে : আমি বুখারী পেশ করব! আর আপনি বুখারী ছেড়ে অন্য কিতাব পেশ করবেন! আমরা আহলে হাদীস  বোখারীকে অগ্রগণ্য মনে করি৷ যদি তাতেকোন বর্ণনা পেয়ে যাই তাহলে অন্য কিতাবের বর্ণনার মোকাবেলায় ৩০ একেবারে ছেড়ে দিই না ৷ (দুলহান এই সংক্ষিপ্ত তাকরীর পেশ করে চুপ হয়ে যায় !)
সুহাইল : মনে হয় আপনি 'তাকলীদ' করে পূর্ণ মুশরিক হওয়ার ইচ্ছা করে নিয়েছেন ৷ "বুখারী অগ্রগণ্য" এই উসূল কুরআনে আছে না হাদীসে? যদি কোথাও না থাকে তাহলে এই উসূল আপনারা বানিয়েছেন ৷ নিজেরাও কি কখনও এর উপর আমল করেছেন?
দুলহান : কেন আমল করি নিঃ
সুহাইল : আচ্ছা, শুনুন!
১. বুখারীতে আছে, হুযূর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্পাম দাড়িয়ে পেশাব করেছেন ৷ আপনি বা আপনার আম্মা কখনও তা করেছেন?
২. বুখারীতে উটের পেশাব পান করার কথা এসেছে ৷ আপনি, আপনার পিতা-মাতা ভাই-বোন ও আপনার মাসলাকের লোকেরা প্রতিদিন নাস্তায় কত গ্লাস পান করেন?
৩. বুখারীতে আছে, রান সতর না! আপনি এবং আপনার সখীরা কতবার পরে বা সেক্লী আগ্ডরওয়্যার পরে বাজারে বা মসজিদে জুমা ও ঈদের নামায পড়তে যান?
৪. বুখারীতে আছে যে দু'হাতে মুসাফাহা করা চাই! এক হাতের বর্ণনা নেই ৷ আপনারা এর উপর আমল করেন না কেনঃ
৫. বুখারীতে আছে 'আমীন' দুআ ৷ দুআ আস্তে করার কথা কুরআনে আছে ৷ আপনারা এর ব্যতিক্রম করেন কেন?
৬. বুখারীতে আছে "ফিক্হ হল হাদীসের ফল" | আপনারা ফিকহ মানেন না কেন?
৭. বুখারীতে জুতা পরে নামায পড়ার বর্ণনা আছে৷ আপনারা আমল করেন না কেন? দুলহান উঠে সুহাইলের মুখে হাত চেপে ধরল ৷ বলল, বস্ কর ৷ উহ! আর আল্লাহ! এই সব কি বুখারীতে আছে? |
সুহাইল : হা, হা এই সব বুখারীতে আছে৷ আরও শুনুন!
৮. বুখারীতে পিছনের রাস্তা দিয়ে সঙ্গমের কথা আছে ৷ আপনার কি এর অভ্যাস আছেঃ না কি গাইরে মুকাল্পিদরা এর উপর আমল করে? দুলহান : সারতাজ! ক্ষান্ত করুন ৷ বুঝে গেছি ৷ আমরা বুখারীকে প্রাধান্য দিয়ে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি ৷ এখন যার দুঃখ-কষ্ট আমাকে পোহাতে হচ্ছে ৷
৯. বুখারীতে তিন তালাককে তিন তালাক বলা হয়েছে৷ অথচ আপনারা তা মানেন না !
দুলহান : আল্পাহ ম্যাডামকে ধ্বংস করুন | তিনি এই সব বিষয় সরলমনা মেয়েদের সামনে তুলে ধরেননা ! এই সব বিষয় এবং উদ্ধৃতি ম্যাডামের সামনে আসলে তার মাথাও চন্ধর দিবে এবং ইমাম বুখারীকে গালী দেবেন এবং খুবই সম্ভাবনা আছে যে, তিনি আহলে হাদীসের মাসলাকই ছেড়ে দেবেন!
সুহাইল : কঠিন, খুবই কঠিন বিষয় | যদি ছেড়েও দেয় তাহলে কাদিয়ানী হয়ে যাবে ৷ ইতিপূর্বেও অনেক আহলে হাদীস কাদিয়ানী হয়ে গেছে ৷ বরং স্বয়ং মীর্জা কাদিয়ানী প্রথমে আহলে হাদীস ছিল ৷ নামাযের মধ্যে আপনার মত রাফয়ে ইয়াদাইনও করত !
দুলহান : এদিক সেদিকের কথা বাদ দেন৷ আমি যদি আপনার কথা মত হাদীস পেশ করি তাহলে?
সুহাইল : আমি আমল করা শুরু করে দিব !
দুলহান : সুনানে বায়হাকীতে রেওয়ায়াত আছে : (عن ابن عمر ان رسو لالله صلي الله عليه و سللم كان اذاافتتح الصلوة رفع يديه واذا ركع واذا رفع راسه من الركوع وكان لايفعل ذلك في السجود فمازالت تلك صلاته حتي لقي الله تعا لي)
অর্থাৎ "নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় ববের সা ক্ষাত তথা মৃত্যু পর্যন্ত রাফয়ে ইয়াদাইন করতে থাকেন !" তো আপন সনা পুরা হল তো? এখন ঘোষণা করুন যে, আমি আজ হতে রাফ য়াদাইন করব ৷ সুহাইল : বাহ! আপনি খুব খুশী হয়ে গেলেন ৷ আপনার কি নি বীও স্বরণ নেই? এই হাদীসে কি আছে যে, রাফয়ে ইয়াদাইন সুন্নাত ১১ এই হাদীসে কি আছে যে, যে রাফয়ে ইয়াদাইন করবে না তার নামা বাতেল? না! তাহলে আপনি কিভাবে আমার দাবী ও চাওয়া পূরণ করলেন?
দুলহান : দেখুন সারতাজ! এই হাদীসে কি নেই যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত রাফয়ে ইয়াদাইন করেছেন?
সুহাইল : আপনার জানা আছে কি, এই বর্ণনাটি মওযূ' বানানো ও মিথ্যা?
দুলহান : না জনাব! ম্যাডাম বলতেন যে, আমাদের কাছে এমন বর্ণনা আছে যার কোন উত্তর নেই
সুহাইল : ১/ ++++এই জি সনদে দুই জন রাবী (বর্ণনাকারী) যারা كذاب + وضاع (যে হাদীস বানায় ও মিথ্যুক)
(১) একজন হল আব্দুর রহমান ইবনে কুরাইশ ৷ আল্লামা যাহাৰী "মীযানে" এবং আল্পামা ইবনে হাজার রহ, "লিসানে" লিখেন : اتهم السليما ني بو ضع الحديٽ অর্থাৎ মুহাদ্দিস সুলায়মানী এই বর্ণনাকারীকে হাদীস গড়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন৷
(২) দ্বিতীয় রাবী ইসমত ইবনে মুহাম্মদ আল-আনসারী" | এর ব্যাপারেও আল্লামা যাহাৰী ও ইবনে হাজার রহ, লিখেন : আবু হাতেম বলেন, ইনি শক্তিশালী রাবী নন ৷ ইয়াহইয়া বলেন, এ মিথ্যুক | উকাইলী বলেন, এ ছিকাহ (নির্ভরযোগ্য) রাবীর দিকে বাতেল বর্ণনার সম্বন্ধ করে৷ আল্পামা দারাকুতনী বলেন, " এ হল মাতত্সক রাবী !" ইবনে 'আদী বলেন, তার সমস্ত রেওয়ায়াত অসংরক্ষিত | সুহাইল শ্লেষমিশ্রিত উক্তি করল, দেখলেন তো রেওয়ায়াত?
দ্বিতীয় কথা হল, স্বয়ং ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকুতে যাওয়ার সময় এবং রুকু হতে উঠার সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন না ৷ মুসনাদে হুমাইদী, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৭৭ ৷
আবু 'আওয়ানা : _______ তৃতীয়ত : এই হাদীসের রাবী হলেন, ইবনে উমর রা. | তিনি নিজে এর উপর আমল করতেন না ৷ তার শাগরেদ হযরত মুজাহিদ ও আব্দুল আজীজ ইবনে হাকীম বলেন, ইবনে উমর রা, প্রথম তাকবীর ছাড়া রাফয়ে ইয়াদাইন করতে না৷ (কাহাবী১/১, ইবনে আৰী শাইবা ১২৩৭, মুযত্থায়ে মুহাম্মদ : ৯৭১
বুঝা গেল, এই বর্ণনাটি 'মনসূখ" (রহিত) ৷ অন্যথায় হযরত ইবনে উমর রা. কখনও তদুনুযায়ী আমল ছাড়তেন না ৷
দুলহান : আচ্ছা, আপনি দাবী পুরা করে দিন ! তাহলে আমি রাফয়ে ইয়াদাইন ছেড়ে দিব ৷ একটি মাত্র সহীহ হাদীস পেশ করুন ৷ যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাফয়ে ইয়াদাইন না করার বিষয়টি প্রমাণিত;
সুহাইল : এখন-ই না বলেছেন কথার কথা ৷ নিন, শুনুন! ইমাম তিরমিযী রহ, তাঁর জামে' কিতাবে বর্ণনা করেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. স্বীয় শাগরেদগণকে বলেছেন, "আমি কি তোমাদেরকে নবী কারীম সান্পাল্পাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামায পড়ে দেখাব? তারপর তিনি নামায আদায় করে দেখান ৷ তিনি শুধু মাত্র প্রথমবার (তাহরীমার সময়) রাফয়ে ইয়াদাইন করেন৷ (তারপর আর করেন নি |) সাহাৰাগণকে মন্দ বলনেওয়ালারা! মনোযোগ দিয়ে শুনুন! এই হাদীসটি ষাট সনদে বর্ণিত ৷ সুতরাং কেমন যেন আমি একসাথে ষাটটি হাদীস পেশ করে দিলাম ! আর আল্লামা আব্দুল গাফফার যাহাৰী এই শিরোনামে সাত শত রেওয়ায়াত একত্রিত করেছেন! যদি কারো ভাগ্যে হেদায়াত না থাকে তাহলে সাত হাজারও কোন কাজে আসবে না !
দুলহান : আল্লাহ আকবর' ৷ আপনার দলীল তো অত্যন্ত স্পষ্ট৷ তারপর আবার ষাট সনদে বর্ণিত হওয়া তো তার শক্তিশালী হওয়ার দলীল ! এখন তো হাদীস মেনে রাফয়ে ইয়াদাইন ছেড়ে দেয়া উচিত ৷ কিন্তু........... !
সুহাইল : কিন্তু কি.....? হাদীস দেখার পর তার কোন সুযোগও নেই ৷
দুলহান : আর আমার কাছে এর কোন উত্তরও নেই৷ তারপরও আজ আমার ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ করব ৷ তিনি এই হাদীসের ব্যাপারে কি বলেন, বাহ্যিকভাবে মনে হয় না যে তিনি কোন জবাব দিবেন ৷ (দুলহানের চোখ নিচে নেমে যায়) তারপরও আপনি তো সন্তষ্ট হয়ে যাবেন!
সুহাইল : আমার পিতা-মাতা যে কি উদ্দেশ্যে আপনার সাথে আমাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে ছিলেন! আপনি তো লাগাতার আমার সাথে তর্ক বিতর্ক জুড়ে দিয়েছেন ৷ দুলহান : না, কখনও না ৷ আমাদের আলেমদের ফতওয়া মোতাবেক আপনার সাথে আমার বিবাহ বৈধ হয়নি ৷ এই বহছ কোন ফলাফলে পৌছলে আমি আমার মাসলাক ছেড়ে দিব ৷ তারপর...... !
সুহাইল : রাগান্বিত হয়ে বলল, তারপর কি? দুলহান বলল, তারপর বিবাহ দোহরিয়ে নিব ৷ (এটা বলেই সোফা থেকে উঠে যায় এবং বলে,) সারতাজ! আমি এক্ষুণি নাস্তা আনছি ৷ সুহাইল মনে মনে ভাবতে লাগল, খোদা না করুন যদি এই বহছ মাসব্যাপী হয় তাহলে আমার বিবাহের কি ফায়দা? তার চেয়ে ভাল এখনই অন্য বিবাহ করে নিই তাহলে চোখও অবনত হবে এবং লজ্জাস্থানের হেফাযতও হবে ৷ তারপর যদি তার ভাগ্যে হেদায়াত থাকে তাহলে দ্বিতীয় বিবাহ করে নিব | এতে কুরআনের পসন্দনীয় হুকুমের উপর আমল হয়ে যাবে ! ما طاب لكم من النساا অন্যথায় এই নতুনটি নিয়েই থাকলে বাপ-দাদার সুন্নাত তো যিন্দা হয়ে যাবে! তাদেরও একটিই ছিল ! দুলহান : সারতাজ! নাস্তা প্রস্তুত ৷
সুহাইল : আচ্ছা!


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!