Thursday, February 7, 2019

একজন হানিফ স্বামীর আহলে হাদিস স্ত্রীর সাথে বিতর্কের চিত্তাকর্ষক কাহিনী "বিয়ের প্রথাম দশ রাত" (৫ম রাত:)

রাতের খাবার খেয়ে সুহাইল কামরায় প্রবেশ করল দুলহান তখন দাঁড়িয়ে ইস্তিকবাল করল ৷ তার চেহারা খুশীতে ঝলমল করছিল ৷ 
সুহাইল : খবর ভাল তো! 
দুলহান : সারতাজ! আপনার দলীলের দুর্বলতা শোনে মন বেজায় খুশি সারতাজ! যে কিতাব হতে আপনি দলীল পেশ করেছেন, সে কিতাবেই তা যয়ীফ হওয়ার কথাও লিখা আছে ৷ 

সুহাইল : আচ্ছা তিরমিযীতে কি লেখা আছেঃ? 

দুলহান : সারতাজ! ইমাম বুখারীর উস্তাদ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ, এই রেওয়ায়াতের ব্যাপারেই বলেছেন : " لم يٽبت" অর্থীৎ এই হাদীসটি ছাবেত নয় | 

সুহাইল : জানেন কি ইবনে মুবারক কে? 

দুলহান : শ্ৰী না ৷ 

সুহাইল : মুহাদ্দিসগণের সারতাজ,++++ আবু হানীফা রহ, এর শাগরেদ ও তাঁর মুকাল্পিদ ছিলেন ৷ কোন রেওয়ায়াত সহীহ বা যয়ীফ হওয়ার ভিত্তি হল তার সনদ ৷ এই হাদীসের সকল রাধী+++ সহীহাইন তথা বুখারী ও মুসলিমের রাবী ৷

দুলহান : সমস্ত রাবী বুখারী ও মুসলিমের? 

সুহাইল: হা! 

দুলহান : তাহলে ইবনে মুবারক রহ, لم يٽبت কেন বললেন? 

সুহাইল : আপনি প্রথমে সনদের রাবীদের অবস্থা শোনে নিন ৷ তারপর ও সান্তনা না পেলে لم يٽبت এর উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দেব! 

দুলহান : খুব ভাল! 

সুহাইল : বলুন তো তার প্রথম রাবী কে? 

দুলহান : আমি কি জানি! আমাদের তো দলীলের রাবী জানা থাকে না | তবে তোতা পাখীর ন্যায় গতানুগতিক কিছু কথা জানা থাকে ! সুহাইল : তবে শুনুন! এই হাদীসের প্রথম রাবী হলেন: 

১. ইমাম তিরমিযী রহ, ! তিনি প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম বুখারী রহ, এর শাগরেদও আবার অন্য দিক থেকে উস্তাদও ৷ 

২. দ্বিতীয় রাবী হলেন, " হান্নাদ রহ.' | তার সম্পর্কে 'তাকুরীব' 'তাহযীব' ও 'তাষকিরাহ' এর ভাষ্য হল, 'আল ইমাম' আল-হাকেম' "ছিকা' 'সাদুক" ৷ কুতাইবা বলেন, ইমাম ওয়াকী' রহ, তাকে সবচেয়ে বেশী সম্মান করতেন ৷ ইমাম আহমদ রহ. বলতেন, 'হান্নাদকে মজবুতভাবে ধর" ৷ ইমাম বুখারী باب في خلق افعال العباد অধ্যায়ে এবং ইমাম মুসলিম পৃষ্ঠা নং ২১৭, ২৯১, ৩৮৫/১ তে তার থেকে রেওয়ায়াত নিয়েছেন ৷ 

৩. তৃতীয় রাবী হলেন, ওয়াকী' ইবনুল জাররাহ" ৷ তাঁর ব্যাপারে বর্ণিত প্রশংসা বাণী হল : 'আল-হাকেম' +++++++كان احفظ | আর ইমাম আহমদ রহ, বলেন, مارايتا مٽل وكيع في الحفظ والا سناد كان امام المسلمين كان افقه اٽبت في الراق আল্পামা ইবনে মাঈন বলেন,ما رايت احفظ منه كان ٽقة مامونا عاليا رفيع القدر كٽير الحديٽ حجه* বুখারী ও মুসলিম তার থেকে রেওয়ায়াত গ্রহণ করেছেন ৷ 

 ৷ 
৪. চতুর্থ রাবী হলেন, হযরত সুফিয়ান-ছাউরী রহ, | তার ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণের উক্তি নিম্নরূপ : 
* আল-ইমাম, শাইখুল ইসলাম, সাইয়্যেদুল হফফায ! 
* হযরত ওয়াকী' রহ, বলেন, সুফিয়ান হলেন সমুদ্র | 
* আল্লামী কাত্বান বলেন سفيان فوق ما لك فی کل شئ
* ইবনে মুবারক রহ, বলেন, لا اعلم عل وجه الارض اعلم من سفیان
 * ইবনে হাজার বলেন, فقیه،حافظ،فقیه،عابد،حجة،امیر المٶمنین
* বুখারী ও মুসলিম তার থেকে রেওয়ায়াত গ্রহণ করেছেন ৷
৫. পঞ্চম রাবী হলেন, 'আসেম ইবনে কুলাইব' ৷ তার সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের উক্তি হল: ثفت،مامون،صدوق،لابأس،کانافضل اھلالکوفة)تھذیبوتقریب)
 এট ইমাম বুখারী ও মুসলিম তার থেকে রেওয়ায়াত গহণ করেছেন ৷
৬. ষষ্ঠ রাবী হলেন : আব্দুর রহমান ইবনে আসওয়াদ ৷ তীর সম্পর্কে ইবনে হিব্বান, ইবনে শাহীন ও ইমাম 'ইজলী প্রমূখ মুহাদ্দিসগণের রায় হল 
 ৭. সপ্তম রাবী 'আলকমা ইবনে কুয়স | নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়েই তার জন্ম ৷ মুহাদ্দিসগণ তাকে এ ৩০ ঞ লিখেছেন! তিনিও সহীহাইনের রাবী ৷
৮. অষ্টম রাবী হলেন : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. | যিনি শুধু সাহাৰী এতটুকুই নয়; বরং তিনি সাহাৰীগণের মধ্যে বড় ফকীহ ছিলেন ! কি বেগম সাহেবা কেমন লাগল? কি রায়? সকল রাবী বুখারী ও মুসলিমের কি নাং ইবনে মুবারক রহ, এর প্রশ্নের কোন বাস্তবতা আছে কি? না খতম হয়ে গিয়েছে? দিল শান্ত হল কি? বহছ কোন ফলাফল পর্যন্ত পৌছেছে কি? এখন বাতেল মাসলাক ছাড়বেন কি না? বিবাহ দোহরানোর ইচ্ছা আছে কি? আমি কি অন্য বিবাহ করে নিব?
দুলহান : (ঘাম মুছতে মুছতে) আল্লাহর কসম এখন তো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ হক ও বাতেল পরিস্কার হয়ে গিয়েছে ৷ গায়রে মুকাল্লিদদের মিথ্যার ঝুলি খুলে গেছে৷ সারতাজ আপনি খেয়াল করেছেন কি? আজ জীবনের প্রথম আমি আহলে হাদীসদেরকে গায়রে মুকাল্পিদ বললাম?
সুহাইল-তার কথা কেটে বলল, এটা কোন নতুন কথা নয় | কেননা তারা তো গায়রে মুকান্পিদ-ই৷ তবে আপনার বলার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে আপনার হেদায়াতের সময় নিকটবর্তী |
দুলহান : সারতাজ! অবশ্যই আমার হেদায়াতের সময় এসে গিয়েছে ৷ আমি সর্বপ্রথম আমার প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা চাচ্ছি! তারপর আপনার নিকটও ৷ আমি ঘোষণা করছি যে, আমি বাতেল মাযহাব ছেড়ে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মাসলাক গ্রহণ করলাম ! গায়রে মুকাল্পিদদের মিথ্যা মাযহাবের উপর হাজারো মর্তবা অভিশম্পাত | তো বিবাহ দোহরানোর জন্যে কাউকে ডাকার পূর্বে অধিক শান্তনার জন্য একটি বিষয় জানতে চাই তা হল, সনদ এত উত্তম হওয়া সত্বেও ইবনে মুবারকের ______^^ বলার হেতু কি? সুহাইল মুচকি হেসে বলল, হযরত ইবনে মুবারকের এই জবাবটি মুবহাম (অস্পষ্ট) ৷ যা উসুলে হাদীসের আলোকে অগ্রহণযোগ্য ৷ ( আল-কেফায়া, যুকাদ্দামায়ে ইবনে সালাহ, শরহে নুখবা]* _ আপনি কি এ বিষয়টি লক্ষ করেন নি যে ইমাম তিরমিযী এই হাদদীসটিকে হাসান বলেছেন? এর দ্বারা কেন যেন তিনি ইবনে মুবারকের উক্তিকে প্রতিহত করে দিলেন ৷ বেগম! আপনি কি চিন্তা করেছেন যে, যদি কারো শুধু মাত্র = ) বলার দ্বারা হাদীস 'আমল করার অযোগ্য সাব্যপ্ত হত তাহলে এই তিরমিধীতেই _________ অধ্যায়ে হাদীসে আৰী সালেহ সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনীর উক্তি __________ দলীল বিহীন হওয়ার কারণে অগ্রহণযোগ্য ৷ এমনিভাবে এই হাদীসেও ইবনে মুবারকের উক্তি দলীল বিহীন হওয়ার কারণে অগ্রহণযোগ্য |
দুলহান বলে উঠল : বাহ ! কি সুন্দর কথা! একেই বলে ইলম ৷
সুহাইল : এখানেই শেষ নয় | এই হাদীসটি ইবনে মুবারকের নিকট সহীহ সনদে না পৌঁছায় তিনি ৬৯ ৬) বলেছেন! যেটা ইমাম তিরমিযী নকল করে রদ্দ করেছেন ৷ কিন্তু ইবনে মুবারক যখন কৃফায় তাশরীফ নিয়ে যান এবং হযরত সুফিয়ান ছাউরী এর হাদীসের মজলিসে এই হাদীসটিই সহীহ সনদে পেলেন তখন তিনি নিজ এলাকায় ফিরে যেয়ে নিজ সনদে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ দুলহান : ইবনে মুবারক কি এই হাদীসটি নিজ সনদে বর্ণনা করেছেনঃ ________রেওয়ায়াতটি নকল করেছেন৷
দুলহান রাগে বলল, আল্লাহ তাআলা গায়রে মুকাল্পিদদেরকে ধ্বংস করুন ৷ যারা মিথ্যার উপর মিথ্যা বলে লোকদেরকে গোমরাহ করছে? সারতাজ! ক্ষান্ত হোন ৷ আপনি তো তাদের সমস্ত গোপন বিষয় ফাঁস করে দিলেন ! যদি আপনার ও আমার সব কথা-বার্তা লোকদের সামনে এসে যায় তাহলে হাজারো লোক হেদায়াত পেয়ে যাবে ৷ আয় আল্লাহ আমার পিতা-মাতা ও বংশের অন্যদেরকেও হেদায়াত দান করুন ৷ (দুলহানের চোখ থেকে ফোটা ফোটা অক্র ঝরছিল !) এখন, এখন ৷ (এটা বলে দুলহান চুপ হয়ে গেল |) সুহাইল : এখন আর কি থেকে গেল?
দুলহান : কিছু না বিবাহ দোহরানোর জন্য কোন আলেমকে ডেকে আনুন ৷
সুহাইল : বাহ! আমার ভাগ্য! বেগম! কাকে ডাকব?
দুলহান : সারতাজ! আপনার বন্ধুকে ৷
সুহাইল : ওই যে আমার লোহা বিক্রেতা বন্ধু? দুলহান: জী, হাঁ! তবে ভবিষ্যতে তাঁকে এমন বলবেন না ! আপনি কি জানেনঃ
সুহাইল : মানে কি?
দুলহান : আপনার বন্ধু তো অনেক বিজ্ঞ আলেম | আর তিনি যার শাগরেদ গায়রে মুকাল্পিদরাও ঘরের ভিতরে তার ইলমের কথা স্বীকার করে | তার মুকাবেলার কোন হিম্মত তাদের ছিলনা ৷ তাই সামনে থেকে আদবের সাথে তাঁর নাম নিবেন ৷ যদি আপনার ভাগ্যে তার সাহচর্য অর্জন না হত তাহলে আজ আমাদের পথ ভিন্ন ভিন্ন হতো ৷
সুহাইল : অত্যন্ত ঠিক বলেছেন ৷
সুহাইল : বেগম! মাওলানা তাশরীফ নিয়ে এসেছেন ৷
দুলহান : তাশরীফ আনুন | বিবাহ দোহরানোর পর মজলিস শেষ হয় ৷ তখন বাজে রাত দুটো ৷ দুলহানের চিন্তা ছিল আজ যেন অতীত রাত্রগুলোর কুযা হয়ে যায়৷ সুহাইলের ফিকির ছিল কিভাবে হুযুর সাল্পাল্লাহ্য আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত বাড়বে! প্রত্যেকেই নিজ চিন্তা ও বাসনার পূর্ণতায় লেগে গেল! এদিকে বিদ্যুৎ চলে গেল ৷ তাদের জন্য আরও সহজ হল | সুহাইল দ্বিতীয় বারে কণ্মে লূত এর পদ্ধতিও অবলম্বন করতে চাইল যা গায়রে মুকাল্লিদদের মাযহাব ! আওয়ায এলো, গৌনাহ হবে ৷
সূহাইল : বুখারী মোতাবেক 'আমল করলে গোনাহ হবে?
দুলহান : এটা কি বুখারীতে আছেঃ
সুহাইল: ড্বী, হাঁ!
দুলহান : জনাব! বাদ দেন ৷ যখন আমি এই মাসলাকই ছেড়ে দিয়েছি তখন আর তাদের মাসআলা আমার উপর প্রয়োগ করবেন কেন?
সুহাইল : তাহলে চলুল! রাফয়ে রিজলাইন এর পদ্ধতি পরীক্ষা করে নিন ৷
দুলহান : এর কি আবার অনেক পদ্ধতি আছে না কি?
সুহাইল : আপনি কি ইবনে তাইমিয়া এর নাম শোনেন নিঃ
দুলহান : অবশ্যই শোনেছি ৷ তিনি তো উচ্চ পর্যায়ের আলেম ৷ তাকেঁ শাইখুল ইসলাম বলা হয় ৷ গায়রে মুকাল্পিদগণ তাঁকে ইমাম ও অনুসরণীয় মানে ৷ (দুলহান বলতে থাকে |)
সুহাইল : শুনুন! আপনাদের শাইখুল ইসলাম ভিন্ন পথ অবলম্বন করে ছিলেন ৷ তিনি আহলে সুন্নাহ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ৷ লোকেরা তাঁকে আহলে সুন্নাহ হতে খারেজ মনে করে ৷ ওই দিকে গেলে আলোচনা দীর্ঘ হয়ে যাবে ৷ শুধু মাত্র কয়েকটি বিষয় শোনাচিছি ৷
১. সকল আহলে সুন্নাহ এ ব্যাপারে ঐক্যমত যে, তিন তালাক দিলে তিন তালাকই হয় ৷ কিন্তু ইবনে তাইমিয়া তা অস্বীকার করেছেন ৷ এই মাসআলাতে তিনি ইয়াহুদী ও শিয়াদের তাকলীদ করেছেন ৷ বর্তমানে গায়রে মুকাল্পিদরাও ইয়াহুদী ও শিয়াদের তাকলীদ করছে |
২ . সংখ্যাগরিষ্ট আহলে সুন্নাহ এর ঐক্যমত হল নবীগণ (আঃ) ও সাহাবায়ে কেরামগণের উসীলায় দু'আ করা জায়ে আছে ৷ কিন্তু ইবনে তাইমিয়া তা অস্বীকার করেন ৷
৩ . নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওযা মুবারকের যিয়ারতের উদ্দেশ্য সফর করা জুমহুরে আহলে সুন্নাহর নিকট জায়েয বরং পসন্দীয় আমল কিন্তু ইবনে তাইমিয়া এটাকে না জায়েয বলেন |
৪. আল্লাহ আল্লাহ যিকির করা আহলে সুন্নাহর নিকট জায়েয ৷ অপর দিকে ইবনে তাইমিয়া তা অস্বীকার করে না জায়েয লিখেছেন ৷ এমনিভাবে সুহাইল বলতে থাকে ৷
দুলহান বিস্ময়ে : জনাব! এই সব বিষয় তো এই প্রথম আমার সামনে আসল নতুবা এমন ভুল আকীদা তো গাইরে মুকাল্পিদদের ছিল না৷ সুহাইল কথা কেটে বলল, তাদের এমন আকীদা নেই কে বলল, তবে তারা সবাইকে তাদের সব আকীদার কথা বলে না ৷ যেন লোকেরা তাদের দলকে না করে ৷
সুহাইল : আপনি কি তার বিশিষ্ট শিষ্য ইবনে কাইয়্যিম রহুকে চেনেন? ______ হা! তিনি তো অনেক উঁচু দর্জার আলেম ছিলেন৷ তার অনেক পুস্তক আছে৷ তার সমকক্ষ ইবনে তাইমিয়ার কোন শাগরেদ নেই
সুহাইল : এই ইবনে কাইয়্যিম রহ,ই ফ্রি ফ্রি শ্বীয় উস্তাদের ওকালতী করেন এবং তার সমস্ত ভুল আকীদাকে দলীল ভিত্তিক প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে অকৃতকার্য হন৷ _____ হয়ে জিজ্ঞাসা করল ৷ আচ্ছা! এত বড় বড় ব্যক্তিত্ব এমন ভুল আকীদা পোষণ করতেন কেন?
সুহাইল : আসল কথা এটাই যে, যখন মানুষ নিজেদের বড়দের উপর আস্থা হারিয়ে স্বীয় জ্ঞান বুদ্ধির পেছনে পড়ে তখন সে নিজেই সরল পথ হতে ছিটকে পড়ে৷
দুলহান : আয় আল্পাহ! আপনার শোকরিয়া ৷ আমার পিতা-মাতা তো দুনিয়ার লোভে পড়ে আপনার কাছে বিবাহ দিয়েছিলেন ৷ আর আল্পাহ তাআলা আমাকে হেদায়াত দান করলেন ৷ অন্যথায় না জানি কত আহলে ইলম ও বুযুর্গানে দ্বীনদের গাল-মন্দ করতাম ৷ আর নিজেদের ভুল দৃষ্টিভঙ্গিকে শুদ্ধ মনে করে তার উপর জমে থাকতাম ৷!
সুহাইল : আপনি কি ইবনে কাইয়্যিম এর কোন কিতাব পড়েছেন?
দুলহান : জী, হা! কিন্তু সীরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর তাঁর কিতাব অতুলনীয় ৷ সুহাইল বলল, সেটা কোনটা, 'যাদুল মা'আদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ"?
দুলহান : জী, হা!
সুহাইল : আল্পামা ইবনে কায়্যিম এই কিতাবেই দুলহানের সাথে মিলনের চার পদ্ধতি লিখেছেন | অন্যথায় আমার বন্ধু বলতেন ষাট তরীকা ৷ দ্বিতীয় তরীকা হল রাফয়ে রিজলাইনের৷ দুলহান : আপনার বন্ধুর তাকলীদ করলে আজই আপনাকে চার বিবাহর অনুমতি দিলাম ৷ সেখানে আপনি ষাট তরীকা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন ৷ আর শুধু আমাকে নিয়েই থাকতে চাইলে ইবনে কাইয়্যিমের চার তরীকায় ধারণ করুন ৷

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!