খুবই গুরুত্বপুর্ন লেখা আশা করি মনযোগ সহকারে পড়বেন সম্পুর্ন লেখাটা পড়বেন শেষ হওয়া অবধি এবং সাথে সাথে প্রত্যেকটা তথ্য ও রেফারেন্স হাদীসগুলো থেকে মিলিয়ে নিবেন ।
কোরআনে সূরা আলে ইমরান - ১৪৪ নং আয়াত থেকে,
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْقَبْلِهِ الرُّسُلُ ۚ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَىٰ
أَعْقَابِكُمْ ۚ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَشَيْئًا ۗ وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ
أَعْقَابِكُمْ ۚ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَشَيْئًا ۗ وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ
And Muhammad is no more thana messenger; the messengers have already passed away before him; if then hedies or is killed will you turn back upon your heels? And whoever turns backupon his heels, he will by no means do harm to Allah in the least and Allahwill reward the grateful.
"--- আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয় ! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন । তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন , তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে ? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে , তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না । আর যারা কৃতজ্ঞ , আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন ---" ।
উপরের আয়াতে এই কথার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে , রাসুল (সাঃ) এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নি বরঞ্চ তাঁকে হত্যা (শহীদ) করা হয়েছে । কারন أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ ,أَو এর মানে ‘ অথবা ’ ও হয় আবার ‘ বরঞ্চ ’ হিসাবে ধরা যায় ।
এখানে যে ভাবে বলা হচ্ছে তাতে দুটো মানে নেওয়া যেতে পারে । সুতরাং এটার মানে দাঁড়াল যে
“ যদি তিনি মৃত্যুবরণ করেন বরঞ্চ কতল করা হয়।
“ যদি তিনি মৃত্যুবরণ করেন বরঞ্চ কতল করা হয়।
নবী (সাঃ) কে শহীদ করা হয়েছ এটা আরও ভালো ভাবে বোঝা যায় যখন আমরা দেখি যে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলছেন যে ,
عَنْ عَبدِ اللَّهِ قَالَ لَأَنْ أَحْلِفَ تِسْعًا أَنَّ رَسُولَاللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُتِلَ قَتْلًا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَحْلِفَ وَاحِدَةً أَنَّهُلَمْ يُقْتَلْ وَذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ جَعَلَهُ نَبِيًّا وَاتَّخَذَهُ شَهِيدًا
“ আমি ন’বার কসম খেতে পারি যে, নবিকে হত্যা করা হয়েছে , কিন্ত একবারও কসম খাব না যে তাঁকে (কতল) করা হয়নি । আল্লাহ তাঁকে নবী ও শহীদ করেছেন ”।
-মুসনাদ এ আহমাদ ইবনে হাম্বাল ।
-- মুসত্রাদক‘আলা সাহিহাইন তাহাকিক যাহাবিঃ বুখারি ও মুসলিমের standard এর হাদিস।
-- মজমাউজ জওাদ, বর্ণনা কারিগন সব সিকাহ ( বিশস্ত)।
-- কানজোলউম্মাল, তারিখ এ ঈসলাম,যাহাবি। তারিখ এ দামিস্ক, ইবনে আসাকির।
--আল বেদায়া ওরনেহায়া, ইবনে কাসির।
আরও অনেক হাদিসের বই এ ।
সুতরাং একথা বোঝা যাছে যে , নবী পাক (সাঃ) কে হত্যা করা হয়েছে । এটা আহলে সুন্নাও মনে করে ।
-মুসনাদ এ আহমাদ ইবনে হাম্বাল ।
-- মুসত্রাদক‘আলা সাহিহাইন তাহাকিক যাহাবিঃ বুখারি ও মুসলিমের standard এর হাদিস।
-- মজমাউজ জওাদ, বর্ণনা কারিগন সব সিকাহ ( বিশস্ত)।
-- কানজোলউম্মাল, তারিখ এ ঈসলাম,যাহাবি। তারিখ এ দামিস্ক, ইবনে আসাকির।
--আল বেদায়া ওরনেহায়া, ইবনে কাসির।
আরও অনেক হাদিসের বই এ ।
সুতরাং একথা বোঝা যাছে যে , নবী পাক (সাঃ) কে হত্যা করা হয়েছে । এটা আহলে সুন্নাও মনে করে ।
এখন প্রশ্ন থাকে যে, কে বা কারা কিভাবে নবী (সাঃ) কে হত্যা করেছে ?
আহলে সুন্নাতাঁদের চিন্তা ধার অনুসারে বলে যে , যয়নব বিনতে হারিস একজন ইহুদি মহিলা , যার ভাই মরহাবকে ইমাম আলি হত্যা করে ছিলেন । খাইবারে যুদ্ধের পরে ঐ হিহুদী মহিলা বিষ খাবারে বিষ দিয়েছিল , সেই বিষক্রিয়াতে পাক নবী (সাঃ) মারা যান ।
সংক্ষিপ্ত ঘটনা -
খাইবার যুদ্ধে ইহুদিদের পরাজয়ের পরে যখন নবী পাক (সাঃ) ঐখানে অবস্থান করছিলেন তখন যয়নব বিনতে হারিস নামে এক ইহুদি মহিলা রসুল (সাঃ) কে দাওয়াত করে বিষ মেশানো বকরি রান্না করে দেন , যাতে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে পরীক্ষা করা যায় যে , তিনি একজন আল্লাহ প্রেরিত সত্যিকারের রাসুল ।
খাইবার যুদ্ধে ইহুদিদের পরাজয়ের পরে যখন নবী পাক (সাঃ) ঐখানে অবস্থান করছিলেন তখন যয়নব বিনতে হারিস নামে এক ইহুদি মহিলা রসুল (সাঃ) কে দাওয়াত করে বিষ মেশানো বকরি রান্না করে দেন , যাতে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে পরীক্ষা করা যায় যে , তিনি একজন আল্লাহ প্রেরিত সত্যিকারের রাসুল ।
হাদিস আর ইসলামের ইতিহাসের কিতাব থেকে আমরা এই বিষয় তিন ধরনের বর্ণনা পাই-
এখানে আমি সহীহ বুখারি ও মুসলিম থেকে একটা একটা করে হাদিস উল্লেখ করছি -
এখানে আমি সহীহ বুখারি ও মুসলিম থেকে একটা একটা করে হাদিস উল্লেখ করছি -
১) রাসুল (সাঃ) রান্না করা উক্ত গোস্ত খান এবং বুঝতে পারেন যে , এতে বিষ মেশানো আছে । এবং ইহুদি মহিলাটাকে হত্যা করা হয়নি ।
সহিহ বুখারি হাদিস নং - ২৪৪১
আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহাব (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে , তিনি বলেন , জনৈক ইয়াহূদী মহিলা নবী (সাঃ) এর খিদমতে বিষ মিশানো বকরী নিয়ে এলো । সেখান থেকে কিছু অংশ তিনি (সাঃ) খেলেন এবং খাওয়ার পরে বিষক্রিয়া টের পেয়ে মহিলাকে হাজির করা হল । তখন বলা হল , আপনি কি এই মহিলাকে হত্যার আদেশ দিবেন না ?
তিনি (সাঃ) বললেন , না ।
আনাস (রাঃ) বলেন নবী (সাঃ) এর (মুখ গহবরের) তালুতে আমি বরাবরই বিষ ক্রিয়ার আলামত দেখতে পেতাম ।
২) রাসুলের (সাঃ) ও একজন সাহাবী ঐ গোস্ত খেলেন আর ঐ সাহাবী মারা গেলেন।
রাসুল (সাঃ) বুঝতে পারলেন যে , খাবারে বিষ দেওয়া আছে । ইহুদি মহিলাকে হত্যা করা হয় ।
সহিহ বুখারি - হাদিস নং - ৩৯২৫
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে , যখন খায়বার বিজয় হয়ে গেল তখন ইহুদীদের পক্ষ থেকে রান্না করা একটি বকরী রাসূল (সাঃ) কে হাদিয়া হিসাবে দেওয়া হয় । সেই রান্না করা বকরীটিতে বিষ মেশানো ছিল ।
খায়বার যুদ্ধে যখন ইহুদীদের জন্য মুসলমানদের আনুগত্য স্বীকার ব্যতীত অন্য কোন পথ বাকী রইল না তখন তারা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় ।
ইহুদী হারিসের কন্যা ও সালাম ইবনু মুশফিমের স্ত্রী যয়নাব একটি বকরীর গোশতে বিষ মিশিয়ে তা রাসূল (সাঃ) এর জন্য হাদিয়া হিসাবে পাঠাল ।
রাসূল (সাঃ) বকরীটির গোশত খেলেও বিষ তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারে নি বটে , কিন্ত তাঁর সাহাবী বার আ ইবনু মা’রূর (রাঃ) বিষক্রিয়ার ফলে শহীদ হন ।
ষড়যন্ত্রকারী মহিলা ধরা পড়ার পর প্রথমে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছিল , কিন্ত পরবর্তীতে যখন বারাআ (রাঃ) মারা গেলেন তখন ‘ কিসাস ’ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয় ।
সহিহ বুখারি হাদিস নং - ২৪৪১
আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহাব (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে , তিনি বলেন , জনৈক ইয়াহূদী মহিলা নবী (সাঃ) এর খিদমতে বিষ মিশানো বকরী নিয়ে এলো । সেখান থেকে কিছু অংশ তিনি (সাঃ) খেলেন এবং খাওয়ার পরে বিষক্রিয়া টের পেয়ে মহিলাকে হাজির করা হল । তখন বলা হল , আপনি কি এই মহিলাকে হত্যার আদেশ দিবেন না ?
তিনি (সাঃ) বললেন , না ।
আনাস (রাঃ) বলেন নবী (সাঃ) এর (মুখ গহবরের) তালুতে আমি বরাবরই বিষ ক্রিয়ার আলামত দেখতে পেতাম ।
২) রাসুলের (সাঃ) ও একজন সাহাবী ঐ গোস্ত খেলেন আর ঐ সাহাবী মারা গেলেন।
রাসুল (সাঃ) বুঝতে পারলেন যে , খাবারে বিষ দেওয়া আছে । ইহুদি মহিলাকে হত্যা করা হয় ।
সহিহ বুখারি - হাদিস নং - ৩৯২৫
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে , যখন খায়বার বিজয় হয়ে গেল তখন ইহুদীদের পক্ষ থেকে রান্না করা একটি বকরী রাসূল (সাঃ) কে হাদিয়া হিসাবে দেওয়া হয় । সেই রান্না করা বকরীটিতে বিষ মেশানো ছিল ।
খায়বার যুদ্ধে যখন ইহুদীদের জন্য মুসলমানদের আনুগত্য স্বীকার ব্যতীত অন্য কোন পথ বাকী রইল না তখন তারা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় ।
ইহুদী হারিসের কন্যা ও সালাম ইবনু মুশফিমের স্ত্রী যয়নাব একটি বকরীর গোশতে বিষ মিশিয়ে তা রাসূল (সাঃ) এর জন্য হাদিয়া হিসাবে পাঠাল ।
রাসূল (সাঃ) বকরীটির গোশত খেলেও বিষ তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারে নি বটে , কিন্ত তাঁর সাহাবী বার আ ইবনু মা’রূর (রাঃ) বিষক্রিয়ার ফলে শহীদ হন ।
ষড়যন্ত্রকারী মহিলা ধরা পড়ার পর প্রথমে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছিল , কিন্ত পরবর্তীতে যখন বারাআ (রাঃ) মারা গেলেন তখন ‘ কিসাস ’ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয় ।
৩) রাসুল (সাঃ) খাওয়ার আগেই ইহুদি মহিলাকে ডেকে পাঠান ও সরাসরই বলে দেন যে , এতে বিষ মেশান আছে ।
সহিহ বুখারি - হাদিস নং - ৫৩৬২
কুতায়বা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত ।
তিনি বলেন , খায়বার যখন বিজয় হয় , তখন রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর নিকট হাদীয়া স্বরুপ একটি ভুনা বকরী প্রেরিত হয় । এর মধ্যে ছিল বিষ ।
তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন যে , এখানে যত ইয়াহুদী আছে আমার কাছে তাদের জমায়েত কর । তার কাছে সবাইকে জমায়েত করা হলে । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাদের সন্মোধন করে বললেন , আমি তোমাদের নিকট একটি বিষয়ে জানতে চাই , তোমরা কি সে বিষয়ে আমাকে সত্য কথা বলবে ?
তারা বলল , হ্যা , হে আবূল কাসিম ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , তোমাদের পিতা কে ?
তারা বলল , আমাদের পিতা অমুক ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , তোমরা মিথ্যে বলেছ বরং তোমাদের পিতা অমুক ।
তারা বলল , আপনি সত্য ও সঠিক বলেছেন ।
এরপর তিনি (সাঃ) বললেন , আমি যদি তোমাদের নিকট আর একটি প্রশ্ন করি , তা হলে কি তোমরা সে ব্যাপারে আমাকে সত্য কথা বলবে ?
তারা বলল , হে আবূল কাসিম , যদি আমরা মিথ্যে বলি তবে তো আপনি আমাদের মিথ্যা জেনে ফেলবেন , যেমনিভাবে জেনেছেন আমাদের পিতার ব্যাপারে ।
তখন তিনি (সাঃ) বললেন , তোমরা কি এ বকরীর মধ্যে বিষ মিশ্রিত করেছ ?
তারা বলল , হ্যা ।
তিনি (সাঃ) বললেন , কিসে তোমাদের এ কাজে উদ্ভুদ্ধ করেছে ?
তারা বলল , আমরা চেয়েছি !যদি আপনি নবুওয়াতের দাবীতে মিথ্যাবাদী হন , তবে আমরা আপনার থেকে মুক্তি পেয়ে যাব । আর যদি আপনি সত্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হন , তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ।
সহিহ বুখারি - হাদিস নং - ৫৩৬২
কুতায়বা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত ।
তিনি বলেন , খায়বার যখন বিজয় হয় , তখন রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর নিকট হাদীয়া স্বরুপ একটি ভুনা বকরী প্রেরিত হয় । এর মধ্যে ছিল বিষ ।
তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন যে , এখানে যত ইয়াহুদী আছে আমার কাছে তাদের জমায়েত কর । তার কাছে সবাইকে জমায়েত করা হলে । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাদের সন্মোধন করে বললেন , আমি তোমাদের নিকট একটি বিষয়ে জানতে চাই , তোমরা কি সে বিষয়ে আমাকে সত্য কথা বলবে ?
তারা বলল , হ্যা , হে আবূল কাসিম ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , তোমাদের পিতা কে ?
তারা বলল , আমাদের পিতা অমুক ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , তোমরা মিথ্যে বলেছ বরং তোমাদের পিতা অমুক ।
তারা বলল , আপনি সত্য ও সঠিক বলেছেন ।
এরপর তিনি (সাঃ) বললেন , আমি যদি তোমাদের নিকট আর একটি প্রশ্ন করি , তা হলে কি তোমরা সে ব্যাপারে আমাকে সত্য কথা বলবে ?
তারা বলল , হে আবূল কাসিম , যদি আমরা মিথ্যে বলি তবে তো আপনি আমাদের মিথ্যা জেনে ফেলবেন , যেমনিভাবে জেনেছেন আমাদের পিতার ব্যাপারে ।
তখন তিনি (সাঃ) বললেন , তোমরা কি এ বকরীর মধ্যে বিষ মিশ্রিত করেছ ?
তারা বলল , হ্যা ।
তিনি (সাঃ) বললেন , কিসে তোমাদের এ কাজে উদ্ভুদ্ধ করেছে ?
তারা বলল , আমরা চেয়েছি !যদি আপনি নবুওয়াতের দাবীতে মিথ্যাবাদী হন , তবে আমরা আপনার থেকে মুক্তি পেয়ে যাব । আর যদি আপনি সত্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হন , তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ।
বিঃদ্রঃ - উপরে একই ঘটনার সহিহ হাদিসের তিন রূপ দেওয়া হল --
এই বিষয় আরও কিছু জানা যায় যে , ইহুদি মহিলা পরবর্তীতে মুসলিম হয়ে গিয়েছিল ।
যাইহোক , খাইবারের যুদ্ধ ৬য় হিজরিতে হয়েছিল আর রাসুল (সাঃ) ১০ ম হিজরিতে মারা যান ।
এ কথা বোধগম্যের বাইরে যে , বিষ পানের ৪ বছর পর কি ভাবে একজন মানুষ বেঁচে থাকতে পারে !
ধরে নিলাম যে , রাসুল (সাঃ) ঐ গোস্ত খেয়েছিলেন ।
ঐ ইহুদিদের কথা অনুযায়ী ওরা বিষ দিয়েছিল রাসুল (সাঃ) এর থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে মুক্তি পাওয়ার জন্য ।
অথচ এটাও দেখা যাচ্ছে যে , রাসুল (সঃ) আদৌও ঐ গোস্ত খান নি ।
এখন এই প্রশ্নও উঠতে পারে যে , ঐ ইহুদি মহিলা বিষ দিয়ে ছিল আর এটাপরীক্ষা কারার জন্য যে , তিনি প্রকৃত নবী কিনা ।
এখন যদি রাসুল পাকের (সাঃ) উপর বিষক্রিয়া হয় বা অন্য একজন সাহাবা মারা যাওয়ার পর বোঝা যায়ে যে , বিষ আছে । তবে তো ঐ মহিলার পরীক্ষাতে রসুল (সাঃ) পাস করতে পারলেন না ।
আর ঐ মহিলা মুসলিম বা হবেন কেন ?
এই বিষয় আরও কিছু জানা যায় যে , ইহুদি মহিলা পরবর্তীতে মুসলিম হয়ে গিয়েছিল ।
যাইহোক , খাইবারের যুদ্ধ ৬য় হিজরিতে হয়েছিল আর রাসুল (সাঃ) ১০ ম হিজরিতে মারা যান ।
এ কথা বোধগম্যের বাইরে যে , বিষ পানের ৪ বছর পর কি ভাবে একজন মানুষ বেঁচে থাকতে পারে !
ধরে নিলাম যে , রাসুল (সাঃ) ঐ গোস্ত খেয়েছিলেন ।
ঐ ইহুদিদের কথা অনুযায়ী ওরা বিষ দিয়েছিল রাসুল (সাঃ) এর থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে মুক্তি পাওয়ার জন্য ।
অথচ এটাও দেখা যাচ্ছে যে , রাসুল (সঃ) আদৌও ঐ গোস্ত খান নি ।
এখন এই প্রশ্নও উঠতে পারে যে , ঐ ইহুদি মহিলা বিষ দিয়ে ছিল আর এটাপরীক্ষা কারার জন্য যে , তিনি প্রকৃত নবী কিনা ।
এখন যদি রাসুল পাকের (সাঃ) উপর বিষক্রিয়া হয় বা অন্য একজন সাহাবা মারা যাওয়ার পর বোঝা যায়ে যে , বিষ আছে । তবে তো ঐ মহিলার পরীক্ষাতে রসুল (সাঃ) পাস করতে পারলেন না ।
আর ঐ মহিলা মুসলিম বা হবেন কেন ?
এখন দেখা যাক ,
রাসুল (সাঃ) এর মৃত্যুর সময়কার কিছু হাদিস ।
যেখানে বলা হচ্ছে যে , নবী (সাঃ) যখন অসুস্থ ছিলেন , সেই সময় তিনি (সাঃ) ঘুমাচ্ছিলেন । তখন হযরত আয়শা নবী (সাঃ) এর মুখে কিছু দ্রব্য ঢুকিয়ে দেন । তখন রাসুল (সাঃ) কড়া ভাবে আয়শাকে বলেছিলেন যে , এভাবে তাঁর মুখে যেন কিছু না দেওয়া হয় ।
সূত্র - সহিহ আল বুখারি , আধুনিক প্রকাশনী -ঢাকা , বাংলাদেশ
৫২৯৪ - ইবনে আব্বাস ও আয়শা থেকে বর্ণিত ।
নবী (সাঃ) ইন্তেকাল করলে হযরত আবু বকর নবী (সাঃ) কে চুমু দিলেন । হযরত আয়েশা (রাঃ) আরও বলেন , নবীজী (সাঃ) এর অসূখের সময় আমরা তার মুখে কিছু ঢেলে দিলাম । তখন তিনি রাসুল (সাঃ) আমাদের ইশারা দিতে থাকলেন যে , তোমরা আমায় মুখে কিছু ঢেল না । আমরা মনে করলাম , এটা ঔষধের প্রতি একজন রোগীর অরুচির প্রকাশ মাত্র । এরপর তিনি যখন সুস্থবোধ করলেন তখন বললেন , আমি কি তোমাদের আমার মুখে কিছু ঢালতে নিষেধ করি নি ? আমরা বললাম , আমরাতো ঔষধের প্রতি রোগীর সাধারন অনীহা মনে করেছিলাম । তখন তিনি রাসুল (সাঃ) বললেন , আমি এখন যাদের এ ঘরে দেখতে পাচ্ছি তাদের সকলকে এটা না গিলিয়ে ছাড়ব না শুধুমাত্র আব্বাস (রাঃ) ছাড়া । কেননা, তিনি তোমাদের সংগে জড়িত ছিলেন না ।
রাসুল (সাঃ) এর মৃত্যুর সময়কার কিছু হাদিস ।
যেখানে বলা হচ্ছে যে , নবী (সাঃ) যখন অসুস্থ ছিলেন , সেই সময় তিনি (সাঃ) ঘুমাচ্ছিলেন । তখন হযরত আয়শা নবী (সাঃ) এর মুখে কিছু দ্রব্য ঢুকিয়ে দেন । তখন রাসুল (সাঃ) কড়া ভাবে আয়শাকে বলেছিলেন যে , এভাবে তাঁর মুখে যেন কিছু না দেওয়া হয় ।
সূত্র - সহিহ আল বুখারি , আধুনিক প্রকাশনী -ঢাকা , বাংলাদেশ
৫২৯৪ - ইবনে আব্বাস ও আয়শা থেকে বর্ণিত ।
নবী (সাঃ) ইন্তেকাল করলে হযরত আবু বকর নবী (সাঃ) কে চুমু দিলেন । হযরত আয়েশা (রাঃ) আরও বলেন , নবীজী (সাঃ) এর অসূখের সময় আমরা তার মুখে কিছু ঢেলে দিলাম । তখন তিনি রাসুল (সাঃ) আমাদের ইশারা দিতে থাকলেন যে , তোমরা আমায় মুখে কিছু ঢেল না । আমরা মনে করলাম , এটা ঔষধের প্রতি একজন রোগীর অরুচির প্রকাশ মাত্র । এরপর তিনি যখন সুস্থবোধ করলেন তখন বললেন , আমি কি তোমাদের আমার মুখে কিছু ঢালতে নিষেধ করি নি ? আমরা বললাম , আমরাতো ঔষধের প্রতি রোগীর সাধারন অনীহা মনে করেছিলাম । তখন তিনি রাসুল (সাঃ) বললেন , আমি এখন যাদের এ ঘরে দেখতে পাচ্ছি তাদের সকলকে এটা না গিলিয়ে ছাড়ব না শুধুমাত্র আব্বাস (রাঃ) ছাড়া । কেননা, তিনি তোমাদের সংগে জড়িত ছিলেন না ।
৬৪২০ - হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত -
তিনি বলেন , আমরা নাবী (সাঃ) এর অসুখের সময় তার মুখের এক কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিলাম ।
তিনি (সাঃ) বলেন , তোমরা আমার মুখের কিনারায় ঔষধ দিও না ।
আমরা মনে করলাম , রোগী ঔষধ সেবন অপছন্দ করেই থাকে ।
যখন তাঁর হুশ ফিরে এলো , তখন তিনি (সাঃ) বললেন , তোমাদের মধ্যে যেন এমন কেউ থাকে না , যার মুখের কিনারায় জোর পুর্বক ঔষধ ঢেলে দেয়া না হয় শুধুমাত্র আব্বাস ব্যতীত।
কেননা , সে তোমাদের কাছে হাজির ছিল না ।
তিনি বলেন , আমরা নাবী (সাঃ) এর অসুখের সময় তার মুখের এক কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিলাম ।
তিনি (সাঃ) বলেন , তোমরা আমার মুখের কিনারায় ঔষধ দিও না ।
আমরা মনে করলাম , রোগী ঔষধ সেবন অপছন্দ করেই থাকে ।
যখন তাঁর হুশ ফিরে এলো , তখন তিনি (সাঃ) বললেন , তোমাদের মধ্যে যেন এমন কেউ থাকে না , যার মুখের কিনারায় জোর পুর্বক ঔষধ ঢেলে দেয়া না হয় শুধুমাত্র আব্বাস ব্যতীত।
কেননা , সে তোমাদের কাছে হাজির ছিল না ।
৬৪৩০ - মূসা’দ্দাদ (রহঃ) হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত -
তিনি বলেন , আমরা নবী (সাঃ) এর অসুখের সময় তার মুখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিলাম । আর তিনি (সাঃ) আমাদের দিকে ইশারা করতে থাকলেন যে , তোমরা আমার মূখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিও না ।
আমরা মনে করলাম যে , রোগীর ঔষধের প্রতি অনীহা-ই এর কারণ । যখন তিনি (সাঃ) হুশ ফিরে পেলেন , তখন বললেন , আমাকে জোর পূর্বক ঔষধ সেবন করাতে কি তোমাদেরকে নিষেধ করি নি ? আমরা বললাম , রোগীর ঔষধের প্রতি অনীহা তাই এর কারণ বলে আমরা মনে করেছি । তখন তিনি (সাঃ) বললেন , তোমাদের মাঝে যেন এমন কেউ না থাকে যার মুখে জোরপূর্বক ঔষধ ঢালা হয় আর আমি দেখতে থাকব শুধু আব্বাস ব্যতীত । কেননা , সে তোমাদের সাথে ছিল না ।
তিনি বলেন , আমরা নবী (সাঃ) এর অসুখের সময় তার মুখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিলাম । আর তিনি (সাঃ) আমাদের দিকে ইশারা করতে থাকলেন যে , তোমরা আমার মূখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিও না ।
আমরা মনে করলাম যে , রোগীর ঔষধের প্রতি অনীহা-ই এর কারণ । যখন তিনি (সাঃ) হুশ ফিরে পেলেন , তখন বললেন , আমাকে জোর পূর্বক ঔষধ সেবন করাতে কি তোমাদেরকে নিষেধ করি নি ? আমরা বললাম , রোগীর ঔষধের প্রতি অনীহা তাই এর কারণ বলে আমরা মনে করেছি । তখন তিনি (সাঃ) বললেন , তোমাদের মাঝে যেন এমন কেউ না থাকে যার মুখে জোরপূর্বক ঔষধ ঢালা হয় আর আমি দেখতে থাকব শুধু আব্বাস ব্যতীত । কেননা , সে তোমাদের সাথে ছিল না ।
নোট - উপরে অনেক বেশির ভাগ জায়গাতে ঔষধ শব্দ অরিজিনালে নেই অনুবাদক বসিয়ে দিয়েছেন , বরং অরিজিনাল আরবীতে এটা আছে ‘(কিছু একটা) ঢেলেদিলাম’) ।
সুতরাং উপরের হাদিস সমূহ থেকে দেখা যাচ্ছে যে , রাসুল (সাঃ) তার অসুস্থতার সময় হযরত আয়েশা এবং আরও কেউ রসুলের (সাঃ) মুখে কিছু ঢুকিয়ে দেন...যেটা রাসুল পাক (সাঃ) নিষেধ করার পরেও । রাসুল (সাঃ) পরিষ্কার ভাবে বারণ করেছিলেন যে , তাঁর মুখে যেন কিছু না দেওয়া হয় । পরে রাসুল (সাঃ) একটু হুস ফিরে পেলে রাগান্বিত হয়ে বললেন যে , এটাকে সবাইকে মুখে দিতে হবে এবং রাসুল (সাঃ) সেটা দেখবেন , শুধু হযরত আব্বাস (রাঃ) ব্যতীত কারণ তিনি ঐ সময় ছিলেন না ।
রাসুল (সাঃ) এর মৃত্যুর কারণ হিসাবে হযরত আয়েশা এটা প্রচার করতে লাগলেন যে , টেস্টিস এ টিউমার ফেটে গিয়ে মারা গিয়েছেন ।
মুসন্দে আহমাদ ও আবু ইয়ালাআল মাসুলি -
حدثنا كامل ، حدثنا ابن لهيعة ، حدثني أبو الأسود ، عنعروة ، عن عائشة ، قالت : مات رسول الله صلى الله عليه وسلم من ذات الجنب
حدثنا كامل ، حدثنا ابن لهيعة ، حدثني أبو الأسود ، عنعروة ، عن عائشة ، قالت : مات رسول الله صلى الله عليه وسلم من ذات الجنب
কিন্ত কেউ এটাকে বিশ্বাস করতে চায় নি কারণ রাসুল (সাঃ) আগেই বলে গিয়েছিলেন যে , এই ধরনের রোগ আমাদের রাসুলদের হয় না ।
এই সব দেখে হযরত আয়েশা বললেন যে , খাইবার যুদ্বে খাবারের বিষ ক্রীয়ায় তিনি (সাঃ) মারা গিয়েছেন ?
আপনারা উপরে আহলে সুন্নিদের সহীহ হাদিস থেকে বুঝতেই পারছেন যে , খাইবার যুদ্বে আল্লাহের রাসুল (সাঃ) বিষ খান নি বলেই বোঝা যাচ্ছে । আবার খেলেও তাঁর উপর ঐ বিষ কোন ক্রীয়া করে নি ।
আবার ঐ বিষ দেওয়া হয়েছিল ৬ষ্ঠ হিজরিতে এবং রাসুল (সাঃ) ইন্তেকাল করেছেন ১০ম হিজরিতে । তাহলে দীর্ঘ চার দশক কিভাবে একজন লোক দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে ?
এতো গেল আহলে সুন্নাতের হাদিস গ্রন্থ থেকে দলিল ।
আবার ঐ বিষ দেওয়া হয়েছিল ৬ষ্ঠ হিজরিতে এবং রাসুল (সাঃ) ইন্তেকাল করেছেন ১০ম হিজরিতে । তাহলে দীর্ঘ চার দশক কিভাবে একজন লোক দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে ?
এতো গেল আহলে সুন্নাতের হাদিস গ্রন্থ থেকে দলিল ।
এখন দেখা যাক যে , শীয়া হাদিস বা তাফসির বই এ কি বলা হচ্ছে,
তাফসির এ আইয়াস ও আল্লামা মাজলিশি ও আলি ইবনেইব্রাহিম কুম্মি যিনি ইমাম হাসন আল আসকারী এর সমসাময়িক ছিলেন -
ইমাম জাফর সাদিক এর থেকে বর্ণনা করেছেন যে , তার মুল মর্ম হল যে রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের শেষ দিনের দিকে হযরত আবু বকর আর হযরত ওমরের ইশারাতে হযরত আয়শা ও হযরত হাফসা রাসুল (সাঃ) কে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে ছিলেন ।
তাফসির এ আইয়াস ও আল্লামা মাজলিশি ও আলি ইবনেইব্রাহিম কুম্মি যিনি ইমাম হাসন আল আসকারী এর সমসাময়িক ছিলেন -
ইমাম জাফর সাদিক এর থেকে বর্ণনা করেছেন যে , তার মুল মর্ম হল যে রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের শেষ দিনের দিকে হযরত আবু বকর আর হযরত ওমরের ইশারাতে হযরত আয়শা ও হযরত হাফসা রাসুল (সাঃ) কে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে ছিলেন ।
সুপ্রিয় পাঠক , এই লেখাটিতে নিজস্ব কোন কিছুই বলা হয় নি । ইতিহাস থেকে যা পাওয়া যায় তাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে । এখন এই লেখাটা গ্রহন করা বা না করা যার যার ব্যক্তিগত অভিরুচি ।
তবে হ্যা , এই বিষয় আপনাদের শালীন ভাষায় যৌক্তিক যে কোন তথ্যাদি বা মতামত সাদরে গ্রহনীয় ।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!