উম্মে মা-বাদ নামে একজন বৃদ্ধ মহিলার ঘরের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছালেন রাসূল (ﷺ) আর সাহাবীরা মদিনা সফরের সময়। তিনি ছিলেন খুবই দানশীল। রাসূল (ﷺ) তার কাছে এসে বললেন আপনার কাছে খাবার কিছু আছে, তিনি বললেন: আমার কাছে যদি কিছু থাকতো তাহলে তোমাকে জিজ্ঞেস করতে হতোনা। রাসূল (ﷺ) বললেন: আপনার ঘরের কোনায় একটা ভেড়া দেখতে পাচ্ছি। বৃদ্ধা বললেন: খুবই দুর্বল সে, দুধ দিতে পারবে না। রাসূল (ﷺ) হেসে বললেন: আমাকে অনুমতি দেন। ছোট খাটো না বিশাল একটা বালতি নিয়ে রাসূল (ﷺ) ভেঁড়িটির দুধ দোহাতে লাগলেন আর আশ্চর্য ভাবে, দুধ বালতির কানাই কানাই পূর্ণ হলো। তিনি মহিলাটিকে দুধ পান করলেন, তারপর সাহাবীদের এবং সব শেষে নিজে পান করলেন। বৃদ্ধার স্বামী ফিরে এসে বললেন এতো দুধ কোত্থেকে? বৃদ্ধা বললেন: আজকে এক অলৌকিক মানব ঘরে এসেছেন। বৃদ্ধার স্বামী বললেন, উনার আকৃতি আমাকে বলো। উম্মে মা-বাদের এই আকৃতি সবচেয়ে সঠিক আর সমাদৃত; এতো সুন্দর করে কেউ কোনোদিন মহানবীর (ﷺ) শারীরিক ঘটনার বর্ণনা দিতে পারেনি। যদিও তিনি মাত্র একবার আমার নবীকে দেখেছিলেন।
- পোশাকে আষাকে খুবই পরিছন্ন, তার চেহারা ছিল উজ্জ্বল, মুখ লম্বাটে, গোলগাল হালকা-পাতলা চেহারা, কোনো মেদ বা ভুঁড়ি ছিলোনা, আকারে মধ্যম, চোখ ছিল ডাগর ডাগর; চোখের মনি খুবই কালো আর বড়, চোখের সাদা অংশ খুবই সাদা, সুরমায় পরিপূর্ণ, কণ্ঠ ছিল তীক্ষ্ণ, পলক ছিল লম্বা লম্বা, ঘন ব্রু, দুই ব্রু নির্দিষ্ট দুরুত্বে আর এর মাঝখানে কোন লোম ছিল না, মাথার চুল ছিল খুবই কালো আর ঘাড় পর্যন্ত লম্বা, সামান্য কোঁকড়ানো-বাবরি, তার গায়ের রঙ দুধে-আলতায় মিশ্রিত গোলাপের মতো, ঘন দাড়ি, মুখগহবর প্রশস্ত, ঘাড় যেন রৌপ্যপাত্রে রক্তঢালা, সুঠাম দেহ, হাত-পায়ের আঙুলগুলো শক্তিশালী ও মজবুত, তিনি অনেক মানুষের ভিড়ে ছিলেন কিন্তু সবার চাইতে (সাহাবী) তিনি ছিলেন সবচেয়ে সুন্দর, কথাবার্তা খুবই বুদ্ধিসম্পন্ন আর প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এই কথা শুনে বৃদ্ধার স্বামী বললো, ইনি রাসূল (ﷺ) ছাড়া আর কেউ হতে পারেন না, যার পিছনে মক্কার পৌত্তলিকরা লেগেছেন, আমি যদি তাকে খুঁজে পাই তাহলে তার বায়াত গ্রহণ করবো। পরে,এই দম্পতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
- হজরত জাবের (রা) বলেন, একবার আমি চাঁদনি রাতে নবী (ﷺ) কে দেখলাম। মুরুভুমির বুকে চাঁদের চাইতে সুন্দর কিছু আছে কি? হঠাৎ আমার মনে হলো দেখি কে বেশি সুন্দর!! রাসূল (ﷺ) তখন আমার কিছু দুরুত্বে অবস্থান করছিলেন,তখন আমি
- একবার রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে তাকালাম আর একবার চাঁদের দিকে।
- একবার রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে তাকালাম আর একবার চাঁদের দিকে।
- একবার রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে তাকালাম আর একবার চাঁদের দিকে।
- একবার রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে তাকালাম আর একবার চাঁদের দিকে।
- একবার রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে তাকালাম আর একবার চাঁদের দিকে।
- একবার রসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে তাকালাম আর একবার চাঁদের দিকে।
- আল্লাহর কসম তাকে আমার কাছে চাঁদের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর মনে হলো। কল্পনাতীত সুন্দর ছিলেন আমার নবী (ﷺ) তার চাইতেও বেশি ছিল তার আব্রু, হায়া, ওয়াকার আর লজ্জা তিনি রূপ সৌন্দর্য্য দেখিয়ে বেড়াতেন না, লজ্জার দিকের থেকে তিনি ছিলেন হজরত ইউসুফ (আ) এর চাইতে উত্তম। যে কেউ তাকে প্রথম দর্শনে হতভম্ব হয়ে পড়ত এবং একথা বলতে বাধ্য হতো জীবনে এমন সুন্দর মানুষ দ্বিতীয়জন দেখিনি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের স্বপ্নে হলেও নবী (ﷺ) কে দেখার সৌভাগ্য নসিব করুন
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!