"আত-তাওহীদ পাবলিকেশন্স" থেকে বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ করেছে। সেটির ভূমিকায়
তারা বলছে, যদিও পূর্বে বুখারী শরীফের বাংলা হয়েছে, কিন্তু মাযহাবের লোকেরা লিখেছে তো! তাই সেখানে তারা অনেক জালিয়াতি করেছে! তাই আমরা শুদ্ধভাবে এটি বাংলা করেছি।
প্রিয় পাঠক
তাহলে আমরা দেখবো কী আছে তাদের লিখিত বুখারীর অনুবাদে।
আত-তাওহিদ পাবলিকেশন্সের সহিহুল বুখারী খণ্ড নং২, পৃ. নং ৩৪৩।
সায়েদ বিন ইয়াজিদ বলেন, আমরা ওমর বিন খাত্তাব(রা.) -সময় বিশ রাকাত তারাবি এবং বিতর পড়তাম।
এখন এ হাদীস তাদেরই প্রকাশনীতে ২০ রাকাতের পক্ষে। আর তাদের মতবাদ টিকিয়ে রাখার জন্য নিচে টীকা টেনে স্পষ্ট বলছে এ হাদীস জয়িফ অথাৎ (দুর্বল)। কেন দুর্বল? বলছে সে হাদীসের সনদে (ধারাবাহিকতায়) খালেদ বিন মাখলাদ রয়েছে। তার দোষ কি? বলছে তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়, তদুপরি সে শিয়া ও মিথ্যাবাদী ছিল।
প্রিয় পাঠক মহোদয়!
দেখুন! বিশ রাখাতের হাদীস জাল
বানানোর জন্য খালিদ বিন মাখলাদকে জাল বানিয়েছে!
আসুন!
তাদের বুখারির ১ম নাম্বার খণ্ড, ৪৩
নাম্বার, ১১৩ নাম্বার পৃ. ইমাম বুখারী
বলছেন, "হাদ্দাসানা খালিদুবনু মাখলাদিন"
অর্থাৎ, আমি খালিদ বিন মাখলাদ থেকে শুনেছি।
প্রশ্ন হলো এ হাদীসদ্বয়কে তারা জয়িফ বলে নাই কেন? একজন ব্যাক্তিকে মিথ্যার তাকমা দিয়ে বর্জন করলে সব ক্ষেত্রে সে মিথ্যুক তাই না? তাহলে, তাদের বঙ্গানুবাদে একজন রাবিকে একটা হাদীসের জন্য মিথ্যুক বলবে; আবার অন্য জায়গায় তার হাদীস গ্রহণ করবে এটা কি ধোঁকাবাজী নয়?
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!