যখন সায়িম (রোযাদার) ব্যক্তি নিম্নে বর্নিত জিজিনিষ গুলো খায়, তখন তার রোযা ভঙ্গ হয়, এবং কাযা করা ওয়াজিব হয়,তবে কাফফারা ওয়াজিব হয় না।
০১★- কাঁচা ডাল,
০২★- আটার খামির,
০৩★- শুখনো আটা,
০৪★- একত্রে অনেকগুলো লবনের দানা,
০৫★- আরমানী মাটি(এক প্রকারের ঔষধী মাটি) ব্যতীত অন্য কোন মাটি, যদি খাওয়ার অভ্যাস না থাকে,
০৬★- খেজুরের আটি,
০৭★- তুলা,
০৮★- কাগজ,
০৯★- ডুমুর, যা পাকানো হয় নি,
১০★- কাঁচা আখরোট,
১১-১৪★- যখন কেউ কঙ্কর,লোহা,মাটি বা পাথর গিলে ফেলে,
১৫★- যখন কেউ মলদ্বার দিয়ে ঔষধ ব্যবহার করে,
১৬★- নাকের ভিতর ঔষধ ব্যবহার করলে,
১৭★- নল বা তদ্রূপ কিছু দিয়ে গলার মধ্যে কোন কিছু ঢেলে দিলে, (এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত)
১৮-১৯★- (বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী) কানে তেল বা পানির ফোটা দিলে,
২০★- পেটের কোন ক্ষত স্থান অথবা মাথার কোন ক্ষত স্থানে ঔষধ লাগালে এবং ঔষধ পেটে অথবা মস্তিষ্কে পৌছে যায়,
২১-২২★- গলার মধ্যে বৃষ্টির ফোটা বা বরফের টুকরা ঢুকে যায়,(এটাই বিশুদ্ধ মত) এবং রোযার ব্যক্তি নিজ ইচ্চায় গিলে না নেয়,
২৩★- যখন কারো অসর্তকতার কারণে কুলির পানি পেটে চলে যাওয়ার কারণে রোযা ভঙ্গ হয়,
২৪★- যদি কোন পুরুষ জবরদস্তির শিকার হয়ে রোযা ভঙ্গ করে এবং সেই জবরদস্তি যদি সঙ্গম করার জন্য হয় তবুও,
২৫★-যখন কোন নারীকে সঙ্গমের জন্য বাধ্য করা হয়,
২৬★- যখন কোন নারী সেবার কারনে অসু্স্থ হয়ে যাওয়ার কারনে নিকের প্রাণের আশঙ্কা বোধ করে রোযা ভঙ্গ করে, চাই সে নারী বাঁদী হোক বা গৃহবধূ হোক,
২৭★- যখন কোন ব্যক্তি রোযাদার ব্যক্তির পেটের ভিতর পানি পৌছিয়ে দেয় এবং রোযার ব্যক্তি তখন ঘুমন্ত থাকে,
২৮★- যখন কেউ ভুল খেয়ে ফেলার পর, আবার ইচ্ছাকৃতভাবে খায়, যদিও সে এসম্পর্কিত হাদীসটি জানে (এটা বিশুদ্ধ তম অভিমত)
২৯★- যখন কেউ ভুলে সঙ্গ করার পর আবার ইচ্ছাকৃতভাবে সঙ্গম করেরে,
৩০★- যখন কেউ দিনের বেলায় রোযার নিয়ত করার পর খায় কিন্তু রাতে রোযার নিয়ত করে নি,
৩১★- কেউ ভোর বেলায় মুসাফির ছিল, তারপর ইকামতের নিয়্যত করে এবং কিছু খায়,
৩২★- কেউ ভোর বেলায় মুকিম ছিল,তারপর যদি সে সফর করে ও কিছু খায়
৩৩★- যে সকল কারনে রোযা ভঙ্গ হয় তা থেকো কেউ এভাবে বিরত থাকে যে,তার রোযা রাখারও নিয়ত নেই,এবং করারও নিয়ত নেই,
৩৪-৩৫★- কেউ যদি ফযরের সময় শুরু হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করে সেহরী খায় অথবা সঙ্গম করে,অথচ তখন ফযরের সময় শুরু হয়ে গিয়েছিল,
৩৬★- কেউ যদি সূর্য অস্ত যাপয়ার ধারনা করে ইফতার করে ফেলে,অথচ তখনও সূর্যাস্ত হয় নি,
৩৭-৪২★- কেউ যদি মৃত মানুষের সাথে সঙ্গম করে,অথবা উরুর সাথে ঘর্ষন করে,অথবা পেটের সাথে ঘর্ষন করে,অথবা চুমু দিয়ে অথবা স্পর্শ করে রেতঃপাত করে,
৪৩★- যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রমযানের রোযা ব্যতীত অন্য কোন রোযা ভঙ্গ করে,
৪৪★- যখন কোন নারীর সাথে সঙ্গম করা হয় যখন সে ঘুমন্ত ছিল,
৪৫★- (বিশুদ্ধ মতানুযায়ী) কোন নারী যদি তার লজ্জাস্থানে ভেতর কিছু ঢেলে দেয়,
৪৬-৪৭★- কোন পুরুষ যদি পানি অথবা তেলে ভেজা আঙ্গিল তার মলদ্বারে প্রবিষ্ট করে,
৪৮★- কোন নারী যদি তার লজ্জাস্থানের ভেতরের অংশে ভেজা আঙ্গুল প্রবিষ্ট করে,(এটাই গ্রহনযোগ্য অভিমত)
৪৯★- কোন পুরুষ যখন তার গুহ্যদ্বারে তুলা প্রবিষ্ট করে,
৫০★- কেন নারী তার লজ্জাস্থানের ভেতরের অংশে তুলা প্রবিষ্ট করে, এবং তা অদৃশ্য হয়ে যায়,
৫১★- কোন ব্যক্তি যখন স্বেচ্ছায় তার গলার ভিতর ধোয়া ঢুকায়,
৫২★- কেউ যখন ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে, এবং যদি সেই বলি মুখভর্তির চেয়ে কমও হয় তবুও(এটা জাহের রেওয়ায়াত মোতাবেক) ইমাম আবু ইউসূফ রহ. মুখভর্তির শর্তারোপ করেছেন।
আর এটাই বিশুদ্ধ মত। ↓
[#বিঃ_দ্রঃ--এব্যাপারে বিশুদ্ধতম মত হল রোযা ভঙ্গ হবে না]
৫৩★- কেউ যখন এমনিতে উপচিয়ে বেরিয়ে আসা বমি ফিরিয়ে নেয়, আর সেই বমি পরিমাণে ছিল মূখ ভর্তি এবং রোযার কথাও তার স্মরণে ছিল,
৫৪★- যদি কেউ তার দাঁতের মাঝে আটকে থাকা বস্তু বের করে খেয়ে পেলে এবং তা পরিমানের ছোলা সমান হয়,
৫৫★- যখন কেউ দিনের বেলায় রোযার নিয়ত করার পূর্বে ভুলে কিছু খেয়ে নেয় এবং তারপর রোযার নিয়ত করে,
৫৬★- কেউ যদি বেহুশ অবস্থায় থাকে, যদি সে পূর্ন রমযান মাস এই অবস্থায় থাকে তবুও। কিন্তু যেই দিন বা যেই রাত্রি থেকে বেহুঁশ হয়েছে সেই দিন বা রাতের রোযা কাযা ওয়াজিব হবে না।
৫৭★- কেউ যদি উন্মাদ হয়ে যায়, কিন্তু সেই উন্মাত্ততা সমগ্র মাস ব্যাপী না থাকে,আর যদি সমগ্র মাস ব্যাপী থাকে তাহলে রোযা কাযা ওয়াজিব হবে না।
যদি কেবল মাত্র রাত্রি বেলায় হুশ এসে থাকে অথবা দিনের বেলায় নিয়তের সময় অতিবাহিত হওয়ার
পর হুশ এসে থাকে তবুও সঠিক মতানোযায়ী রোযা কাযা ওয়াজিব হবে না।
#والله_اعلم_بالصواب
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!