“ট্রাম্প তোমায় সু-স্বাগতম”
ট্রাম্পীয় যুগ শুরু হয়ে গেছে। মুসলমানদের আমেরিকায় যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের গ্রহন করবে না বলে আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে। আমেরিকার ইসলামিক সেন্টারগুলোতে আগুন লাগা শুরু হয়ে গেছে। মসজিদে আগুন দেওয়া হচ্ছে। মনের আগুন এখন মসজিদে মসজিদে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমি মনে করি এটা একটি ভালো লক্ষণ। মুসলমানরা কে জুব্বা পড়লো, কে প্যান্ট শার্ট পড়লো, এটা এখন দেখার বিষয় থাকবে না। মুনাফিক মুসলিমরা এতদিন কোন ইসলামী রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে দেয়নি, সেই মুনাফিক মুসলিমরা এখন আমেরিকা গিয়েও দাঁড়াতে পারবে না। পদে পদে লাঞ্ছিত হবে। আজ মুসলমানদের কাছে খুব পরিস্কার হয়ে যাবে যে, আসলে আমেরিকা কখনোই মুসলমানদের বন্ধু ছিল না। ওরা আফগান জালিয়েছে, ইরাক জ্বালিয়েছে, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন সব জ্বালিয়েছে। এখন নিজ দেশেও আগুন জ্বালাচ্ছে। ওদের মনের ভেতরে যে আগুন ছিল তা এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। এ আগুনে মুনাফিক মুসলিমদের পরিচয় পরিস্কার হয়ে যাবে।
আজ এটা খুব পরিস্কার যে, সকল কুফফার শক্তি মুসলমানদের দুশমন। প্রকাশ্য শত্রু। ওরা মুনাফিক মুসলমানদের সাথে নিয়ে এতদিন সন্ত্রাস দমনের নামে প্রকৃত মুসলমানদের হত্যা করেছে, গৃহহারা করেছে, স্বজনহারা করেছে। ভিটেমাটি হারা করেছে। এখন নিজের দেশেই ওরা আগুন লাগাচ্ছে।
সময় এসেছে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। একই পতাকাতলে আসার। একই নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার। বিভাজন মুসলমানদের আরো দুর্বল করবে। হীন করবে। আজ কুফফার শক্তি এটা দেখবে না কে হানাফি, কে আহলে হাদীস, কে সুন্নী, কে ওয়াহাবী, কে তাবলীগি, কে চরমোনাই, কে জামাত, কে জিহাদী। ওদের কাছে শতভাগ আনুগত্যহীন সকল মুসলমানই শত্রু। তাই মসজিদে আগুন লাগাও। ভিসা বন্ধ করে দাও।
এগুলো আজ মুসলমানদের এই শিক্ষা দিবে যে, মুসলিম দেশ থেকেও ওদের বিদায়ের আওয়াজ উঠার। আজ মধ্যপ্রাচ্য থেকে যদি ওদের বিদায়ের আওয়াজ ওঠে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইনশাআল্লাহ, গোটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে ওদের বিদায়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। বিশ্বের সকল মুসলমানকে একনেতার পতাকাতলে সংঘবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই ওদের ক্রুসেডীয় উম্মাদনা নিয়ন্ত্রন সম্ভব।
ট্রাম্প মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পথকেই সুগম করবে। তাই তাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি।
[FB: Syed Shamsul Huda]
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!