‘তারাবীহ’ শব্দটি আরবী শব্দ। এটা تَرْوِيْحَةٌ (তারবীহাতুন) এর বহুবচন। এর আভিধানিক অর্থ বিশ্রাম নেয়া। তারাবীহ’র নামায অতি দীর্ঘ হওয়ায় প্রতি চার রাকাত পরপর খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে আবার চার রাকাত পড়া হয়।
এ হিসেবে ২০ রাকাত নামাযে পাঁচটি বিশ্রাম হয়। অনেকগুলো বিশ্রামের সমন্বয় ঘটায় এ নামাযকে তারাবীহ’র নামায বলা হয়।
আর শরীআতের পরিভাষায় রমাযান মাসের রাতের অতিরিক্ত নামাযকে তারাবীহ বলা হয়। এ কারণে তারাবীহ’র নামাযকে হাদীসের কিতাবে ‘কিয়ামু শাহরি রমাযান’ বা ‘রমাযানের রাতের নামায’ নামে শিরোনাম দেয়া হয়ে থাকে।
আর যে নামায সারা বছর রাতে পড়া হয়ে থাকে সেটাকে তাহাজ্জুদ -(সূরা বনী ইসরাঈল: ৭৯) বা কিয়ামুল লাইল বলা হয়। -(সূরা মুযযাম্মিল: ২)
★ রসূলুল্লাহ (সঃ)-এর তারাবীহ’র রাকাত
রসূলুল্লাহ (সঃ) কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদের নামায সারা বছর পড়তেন। আর কিয়ামু শাহরি রমাযান বা তারাবীহ’র নামায রমাযান মাসে পড়তেন। তবে সহীহ হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী রসূলুল্লাহ স. মাত্র তিন দিন তারাবীহ’র নামায জামাআতে পড়েছেন। -(বুখারী: ১০৬২, তিরমিজী: ৮০৪)
রসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ব্যক্তিগত রাতের নামায অর্থাৎ, কিয়ামুল লাইল-এর রাকাত সংখ্যার ব্যাপারে সহীহ হাদীসে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। কিন্তু কিয়ামু শাহরি রমাযান অর্থাৎ, তারাবীহ’র নামায যে তিন দিন তিনি জামাআতে আদায় করেছেন ওই তিন দিনের রাকাত সংখ্যা কোন সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়নি।
অনেকে রসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সারা বছর রাতে আদায়কৃত নামায অর্থাৎ, কিয়ামুল লাইল- এর রাকাত সংখ্যা দিয়ে তারাবীহ’র রাকাত সংখ্যা নির্ণয়ে দলীল দেয়ার চেষ্টা করেছে।
অথচ ইনসাফের দাবী অনুযায়ী তা দ্বারা তারাবীহ’র রাকাত সংখ্যা নির্ণয়ে দলীল দেয়া চলে না। কারণ, রসূলুল্লাহ (সঃ)-এর রাতের নামায অর্থাৎ কিয়ামুল লাইল-এর রাকাতের পরিমাণের ব্যাপারে বিভিন্ন সংখ্যা বর্ণিত হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট দলীল ব্যতীত এর মধ্য থেকে যে কোন একটিকে তারাবীহ’র রাকাত হিসেবে চিহ্নিত করা কোনক্রমে যথার্থ হবে না।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!