অনেকেই হয়ত শিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন?
অবাক হওয়ার কিছু নেই!
নিচের আলোচনা দেখলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ!!
যারা বলে তারাবীহ ৮ রাকাত সত্যিকার অর্থে তারা তারাবীহর নামায মানেনা।
ধরুন একজন কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি ইশার নামায মানেন?
সে বলল, মানি।
তারপর জিজ্ঞেস করলাম কয় রাকাত?
সে বলল, ৩ রাকাত।
বললাম কিভাবে?
উত্তরে বলল, সুর্যাস্তের সাথে সাথে পড়লে যার নাম মাগরীব।
আর এক ঘণ্টা পরে পড়লে তার নাম ইশা!
মাগরীব আর ইশা আলাদা কোন নামায নয়। মাগরীব আর ইশা একই নামায।
সুতরাং ৩রাকাত।
এবার আমাদের কথিত আহলে হাদীস ভাইদের জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি তাহাজ্জুদ এর নামায মানেন?
বলে মানি।
কয় রাকাত?
বলে ৮রাকাত।
তারপর জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে?
বলে রমজান ছাড়া যেই নামাযের নাম তাহাজ্জুদ, রমজান ঢুকলেই সেই নামাযের নাম তারাবীহ!
যেহেতু রমজান ছাড়া এই নামায ৮রাকাত, সেহেতু রমজানের ভিতরের নামাযও ৮রাকাত।
এখন যেই ব্যাক্তি বলল ইশার নামায ৩ রাকাত, মাগরীব আর ইশা আলাদা কোন নামায নয়।
ওই ব্যাক্তি ৩ রাকাতের ধাপ্পা দিয়ে ইশার নামায অস্বীকার করলো।
তেমনিভাবে আমাদের কথিত আহলে হাদীস ভাইগণও বলেন তাহাজ্জুদ এর নামায ৮ রাকাত। ৮ রাকাতের ধাপ্পা দিয়ে তারাবীহ'র নামায অস্বীকার করে।
তারা তারাবীহ'র নামায মানেনা।
তারাবীহর নামায ৮ রাকাত হতেই পারেনা!
আমাদের কথিত আহলে ভাইদের প্রকাশনী "পীস পাবলিকেশন্স" এ প্রকাশিত "রাসুলুল্লহ (সাঃ) এর প্রেক্টিক্যাল নামায" বইয়ের ২১৯ নাম্বার পৃষ্ঠা থেকে কিছু অংশ তুলে ধরলাম,
"تَرَوِيْةٌ
আরবী শব্দ।
تَرْوِيْهَةٌ
এর বহুবচন।
এই ٌتَرْوِيْهَة এর দ্বী-বচন হচ্ছে تَرْوِيْهَةً।
শব্দটির অর্থ ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নেয়া।
হাদীসে এই শব্দ ব্যাবহৃত হয়নি।হাদীসে এই সালাত কে قيام في رمضان (রমজান মাসের রজনীতে দাঁড়ানো) নামে অবহিত করা হয়েছে।
আমাদের নবী কারিম (সাঃ) রমজানের রাতে প্রতি ৪ রাকাত পর ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নিতেন বিধায় পরবর্তী সময়ের ফকিহগণ এই সালাত কে নামকরণ করেন তারাবীহ।
تَرْوِيْهَةٌমানে ৪ রাকাত পরে একবার বসা।
তাহলে দ্বী-বচন ( ًتَرْوِيْهَة) মানে দুইবার বসা অর্থাৎ ৮ রাকাত।
আর ১২ রাকাত থেকে হাজার রাকাত এর নাম তারাবীহ (ٌتَرَوِيْه)।"
অর্থাৎ একবার ৪রাকাত পড়ে বসলে তো ٌتَرْوِيْهَة।
দুইবার ৪রাকাতের পরে বসলে ًتَرْوِيْهَة।
এবং ৩ বারের পর থেকে যতবার বসা হবে তার নাম ٌتَرَوِيْة।
সুতরাং ৮ রাকাত তারাবীহ কি হতে পারে?
৮ রাকাতের নাম তো ًتَرْوِيْهَة।
যেইসব লোকেরা আমাদের মসজিদে মসজিদে ফিতনা সৃষ্টি করে, বলে ৮ রাকাত তারাবীহ।
তাদের বলবেন, আরে আহাম্মক ৮ রাকাত তো তারাবীহ হতেই পারেনা।এর নাম ًتَرْوِيْهَة। ৮ রাকাত তারাবীহ বলিস বেটা মুর্খ আগে আরবী ব্যাকরণটা ভালো করে শিখে নে!!!
শুধু এই নয়,
এই বইয়ের ২২১-২২৩ নাম্বার পৃষ্ঠাব্যাপী আমাদের দোস্তরা অনুবাদ করে বের করছে ৩ পৃষ্ঠাব্যাপী দলিল দিয়ে প্রমাণ করে লিখেছে "সুতরাং ২০ রাকাতের অভিন্ন মত গ্রহণ করাই যুক্তিসংগত"।
কথিত আহলে হাদীস ভাইদের বলছি,
আগে নিজেদের কিতাবগুলো ভালো করে পড়ুন।আর আরবী ব্যাকরণ আমাদের ক্বওমি মাদ্রাসার মক্তবে এসে শিখে যান।
তাহলে আর ৮ রাকাত কে তারাবীহ বলবেন না।
اللهم احفظ جميع المسلمين عن فتنة أهل حديث .
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!