গভির রাত্রে ফিস ফিস করে স্ত্রী তার স্বামীকে বলল,, ওগো শুনছ,, তুমি তোমার ভাইদের থেকে পৃথক হয়ে যাও।এতবড় সংশারের কাজ করতে করতে আর পারছি না।
স্বামী :: পৃথক হয়ে খাব কি ?
আমি যে তেমন কোন রোজগার করতে পারি না।ভাইয়েরা সবাই ভাল ভাল চাকুরি করে।ভাইগুলিও খুব ভাল।আমাকে কামাই করার জন্য কিছুই বলে না।।
স্ত্রী :: সেই চিন্তা তোমাকে করতে হবে না।আমিই সেই চিন্তা করব।
আমার কাছে যাহা আছে তাহা আমাদের জীবনে খেয়ে শেষ করতে পারব না।
স্বামী :: তাহলে আমি কিছু জানি না।আমার পৃথক হতে মনে চায় না।এখন তুমি যাহা বল তাই হবে।
পরের দিন সন্ধায় যখন চার ভাই একত্রিত হল তখন ছোট ভাই সামসু বলল,, আমি তোমাদের থেকে পৃথক হয়ে যাব।আমাকে আলাদা করে দাও।
ভাইয়েরা সমঃস্বরে বলল,, বল কি ?
আলাদা হয়ে খাবে কি ?
আমার ব্যবস্থা আছে।দয়া করে আমাকে পৃথক করে দাও।
বিবি তো মহা খুশি। কারন কাজের চাপ কমে গিয়াছে।
রাত্রে স্বামী বিবিকে জিজ্ঞাসা করে,, বল এমন কি সম্পদ তোমার নিকট আছে? যার কারনে আমাকে ভাইদের থেকে পৃথক করেছ ?
বিবি সাহেবা একটা মিছকি হাসি দিয়া ঘরের কোন থেকে একটা কলসি এনে ঘরের মেঝেতে উপুর করলে অনেকগুলি খুচরা পয়সা কলসি থেকে বেড়িয়ে আসল। বিবির মূখখানি খুশিতে চকচক করতেছে।
কিন্তু স্বামী মাথা নত করে একদম চুপ করে বসে রইল।একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে নিজের বোকামির জন্য আফছুছ করতেছে।।।।
এই মহিলা যেমন সামান্য কিছু খুচরা পয়সাকে অনেক বড় করে দেখেছে এবং ভেবেছে এই পয়সা দিয়াই জীবন চালিয়ে দিতে পারবে।বাজারে কি পরিমান পয়সা নিয়া গেলে কি পরিমান শওদা পাওয়া যাবে সেই খবর রাখে না।
ঠিক তদ্রুপ ইদানিং কিছু নামদারী আলেমের আস্ফালন উক্ত মহিলার মতই মনে হইতেছে।
তারা সর্বদাই বাহাছ বাহাছ আওয়াজ তুলে মানব মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতেছ।তাহারা নিজেদের ইলমকে ঐ মহিলার খুচরা পয়সার মত অনেক বড় করে দেখতেছে।আর মনে করতেছে তাদের ইলমের মোকাবেলা করার যোগ্যতা কারো নাই। কিন্তু তাদের জানা নাই যে, কি পরিমান ইলম নিয়া বাহাছের মাঠে গেলে টিকে থাকা যাবে।
কাজেই বার বার বাহাছের তারিখ করে বার বারই পিছনের দড়জা দিয়া পলায়ন করছে।
কারন ডাকাতের সর্দারকে সকল ডাকাতরা স্যার স্যার বলে ডাকে।
কিন্তু কতক্ষন ? যতক্ষন পুলিশের হাতে ধরা না পরে ততক্ষন।যখন পুলিশের হাতে ধরা পরে তখন আর স্যারগিরি থাকে না।তখন পুলিশের বুটের লাথিতে পিছন দিয়া পায়খানা বের হয়ে যায়।
ঠিক তদ্রুপ, লা মাযহাবী শায়েখেরা ও বেদাতি আলেমেরা তাদের নিজ দলের নিকট অনেক বড়।কিন্তু যখনই হকপন্থি আলেমের মোকাবেলা হয় তখন আর শায়েখগিরি থাকে না।
উচিৎ বলাতে যদি কারো গায়ে লাগে তাহলে করার কিছুই নাই।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!