তানভীর_নাসরিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা।
তাতে কি হয়েছে? কিছু হয়েছে। আগে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যপক অধ্যাপিকাদের মর্তে ভগবানের ছোট প্রতিনিধি বলে মনে করতাম। এখনও মনে করি। তবে ভগবান নয় শয়তানের রাজা ইবলিশের প্রতিনিধি। তবে সকলে নয়, একটা বিরাট সংখ্যক। এরাই এখন সব চেয়ে সুবিধবাদি শ্রেণী।ক্লাসে নীতির বড় বড় বুলি আওরায়।কিন্তু নিজের জীবনে পুরো উল্টো। এক সময় সবাই ছিল মার্ক্সবাদের বিরাট ভক্ত। অনেকে মনে হতো লেনিনের আত্মীয়। অযোগ্যরা কিভাবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আনুগত্যের জোরে চাকরি পেয়েছে। কত সব মার্ক্সবাদের তাত্বিক নেতা।
সরকারের পতন ঘটলো। ওই সব মার্ক্সবাদীরা রাতারাতি টকটকে লাল থেকে সবুজ গেরুয়ায় পরিবর্তন হয়ে গেল। মনে হয় শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত না থেকে সার্কাসে যোগ দিলে দারুণ খেলা দেখাতে পারতো।
তেমনি একজন তানভির নাসরিন। তার সম্পর্কে লিখতে খুব খারাপ লাগছে। তবু বাস্তব সকলের জানা উচিৎ। ছাত্র জীবনে কোন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে আমার জানা ছিল না। মা একটি সরকারী হাই স্কুলের শিক্ষিকা, বাবা ব্যাংকে চাকরি। কিন্তু বাবা সিপিএমের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। বর্তমান তৃনমূলের মত বিরোধীদের ঝাড়ু মেরে বিদেয় করে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানের দলীয় অফিস থেকে যা বলবে সেটাই কার্যকরী হবে। সেদিনের ঠেঙাড়ে বাহিনীর অনেকে এখন নানা বিভাগে কাজ করছে। অনেকে আবার রাতারাতি দল বদল করে সরকারী দলে যোগ দিয়েছে। যেমন সদ্য অবসররপ্রাপ্ত Registrar দেব কুমার পাঁজা। যাই হোক এক সময় ওখানে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক নিয়োগের Interview হয়। সেখানে অন্যান্যদের সাথে আসে এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমারও অধ্যাপক শ্রদ্ধেয় পরলোকগত দিপ্তেন বাবুর কন্যা। মাধ্যমিকে CBSE পরীক্ষায় সর্ব ভারতে প্রথম , উচ্চ মাধ্যমিকে পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডেও প্রথম স্থান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে সাম্মানিকে প্রথম স্থান এবং জে এন এউ এ এম,এ তেও প্রথম স্থান অধিকার করে। তাকে বাদ দিয়ে তানভিরের মত সাদা মাটা একটা মেয়েকে নেওয়া হয় একমাত্র কমরেডের মেয়ে বলে।
যাক সে কথা। পরে এক ডাক্তার ছেলের সঙ্গে ওর বিয়ে হোল । খুব ভাল কথা। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ওর আগে থেকেই সুমন ভট্টাচার্য নামে একজনের সাথে সম্পর্ক ছিল। থাকতেই পারে।যে কেও যে কোন মানুষের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়তেই পারে। তাতে কেও বাঁধা দিতে পারে না। কিন্তু সে সম্পর্ক বাদ দিয়ে ডাক্তার রফিকুলের সঙ্গে বিয়ে ?
যাই হোক ও ওই ডাক্তার ছেলেকে তালাক দিয়ে সেই সুমন ভট্টাচার্য কে বিয়ে করলো। আগের পক্ষের মেয়েকে ওই ডাক্তার খোরপোষ এখনও দিচ্ছে। আর অধ্যাপিকা সঙ্গে সঙ্গে বাম ভক্ত থেকে রাম ভক্ত।ওর পূর্বতন স্বামী আমি যত টুকু জানি আর দ্বিতীয় বিয়ে করেনি। সেই আবার মুসলিম সমাজের সংস্কারের ঠিকেদার হতে চাইছে। কি নির্লজ্জ । আর কিছু ধামা ধরা সংবাদপত্র তার খবর মাঝে মধ্যে ছাপে। মনে হয় কি বিরাট নারি মুক্তির নেত্রী। যখন দেশে যে দল ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে, একের পর এক মুসলিম , দলিত যুবকদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করা হচ্ছে সেই দলের যে সদস্য ,এমন বিশ্বাস ঘাতক কে মানুষ সমর্থন করবে?
(কলকাতার একটি পেইজ থেকে সংগৃহীত)
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!