Saturday, February 4, 2017

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) সম্পর্কেরাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরভবিষ্যৎবানীঃ

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবানীঃ হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, "দ্বীন ও ধর্মের আহরণ করা মানুষের পক্ষে যদি এত কষ্টসাধ্য হয় যে, তা আকাশের দূর্গম প্রান্ত বা সুরাইয়া তারকার নিকটে লুকিয়ে থাকে। তবুও পারস্যের এক ব্যক্তি সেখান থেকে জ্ঞান আহরণ করতে সক্ষম হবে।" (বুখারী হাদিস নং-৪৮৯৭, মুসলিম হাদিস নং-২৫৪৬) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উক্ত হাদিসে পারস্য ব্যক্তির অসাধারণ কৃতিত্বের সুসংবাদ ও ভবিষ্যৎবাণী করেছেন, বিশেষজ্ঞ উলামাদের মতে বিশেষ করে ইমাম সূয়ুতি (রহঃ) , ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) , ও শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলভি (রহঃ) প্রমুখদের গবেষনার আলোকে সেই সুসংবাদ প্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ইমামে আজম ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)। কেননা পারস্য বা অনারবে তিনিই ইতিহাসের একমাত্র প্রথিতযশা ও ক্ষনজন্মা ব্যক্তিত্ব যিনি ইলম-প্রজ্ঞা ও ইজতিহাদ তথা কুরআন-সুন্নাহর গবেষনায় চরম উৎকর্ষতা অর্জন করেছিলেন। (তাবয়ীযুদ সহিফাঃ ২০-২১, আল-খাইরাতুল হিসানঃ ২৯, উকূদুয যমানঃ ৪৫) ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) কুফার অধিবাসী ছিলেন, আর কুফা, বসরা ইত্যাদি স্থান পারস্যের কেন্দ্রবিন্দু। ইমাম সূয়ুতি (রহঃ) লেখেন, "ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর প্রতি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুসংবাদ এবং তার পরিপূর্ণ শ্রেষ্ঠত্বের উপর উপরিউক্ত হাদিসটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং বিশুদ্ধতম মূলনীতি।" (তাবয়ীযুদ ছহীফাঃ ২১) এবার বলুন আপনার কি গর্ব হয়না যে আপনি ফিকহে হানাফীর অনুসারী?

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!