Monday, March 27, 2017

তাকবিরের সময় মরহুমের এ্যাডভোকেট ছেলে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো

জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মরহুমের ছেলে উচ্চশিক্ষিত। এ্যাডভোকেট। ইমাম সাহেব এক তাকবির দিলেন, দুই তাকবির দিলেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় মরহুমের এ্যাডভোকেট ছেলে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো। হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।
যথারীতি নামায শেষ হলো। ইমাম সাহেব এ্যাডভোকেট সাহেবকে সান্তনার বাণী শোনাতে লাগলেন। দুনিয়া তো ক্ষণস্থায়ী। সবাই চলে যাবে একদিন, ইত্যাদি ইত্যাদি।
চোখের পানি মুছে এ্যাডভোকেট সাহেব বললেন, হুজুর! আপনি ভেবেছেন আমি আব্বাজানের শোকে এভাবে হাউমাউ করে কাঁদছি। নামাযের মধ্যে জোরে চিৎকার দিয়ে কেঁদে ওঠার কারণ এটা ছিল না হুজুর।
তো কী কারণ ছিল?
হুজুর! আমি এতো বড় শিক্ষিত মানুষ। উকালতিতে অনেক নাম কুড়িয়েছি কিন্তু আমি যে জানাযার নামাযের দুআ পড়তে পারি না।
আমার বাবা আজ চলে গেলেন। শেষ বেলায় তার জানাযা নামাযে দুআ পড়তে পারলাম না, এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কিছু হতে পারে? এই কষ্টে আমি হাউমাউ করে কেঁদে ‍উঠেছি।
আমাদের এ কী শিক্ষা? আমরা এতো বড় শিক্ষিত হয়েও জানাযার দুআটি জানি না।
এরপর এ্যাডভোকেট সাহেব উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, সন্তানদেরকে দীন শিক্ষা দিবেন, এই একট অনুরোধ রইলো।
আজকাল অভিভাবকরা কতটুকু সচেতন তাদের সন্তানদের ইসলামের ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মৌলিক বিষয়াদি শিক্ষাদানে।
হাফেজ মোঃআব্দুল হালিম
শিক্ষক.জামিয়া হামিদিয়া বটগ্রাম মাদ্রাসা শুয়াগাজী, সদর দঃ কুমিল্লা

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!