ফেনী: হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, রাষ্ট্র আপনারা চালান, আমরা ধর্ম নিয়ে থাকবো। রাষ্ট্রের কর্ম নিয়ে মাথা গলাতে কখনই আসবো না। শুধু খেয়াল রাখবেন ইসলামবিরোধী কোনো কাজ যেন বাংলাদেশে না হয়। তাহলেই আমরা খুশি। বরং দেশ পরিচালনায় আলেম ও ওলামা সরকারকে সহযোগিতা করবে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে ফেনী আলিয়া মাদরাসা ময়দানে (মিজান ময়দান) হেফাজতের উদ্যোগে আয়োজিত শানে রিসালাত সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শাহ আহমদ শফী বলেন, লাঠি নিয়ে হাঙ্গামা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে কখনও ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। ইসলাম এসেছে শান্তির মাধ্যমে আর সমাজে তা প্রতিষ্ঠিত হবেও শান্তির মাধ্যমে।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপনের ব্যাপারে তিনি বলেন, মুসলিম দেশে নারী মূর্তি কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। হয় সরকার থাকবে, না হয় এ মূর্তি থাকবে। দু’টো একসঙ্গে কখনোই থাকতে পারে না। প্রয়োজনে আরেকটি ৫ মে আসবে।
হেফাজতের আমির বলেন, মুসলিম দেশে দিনে-রাতে কী হচ্ছে? শরম লাগে। মুসলমানের দেশে এগুলো কী করে হতে পারে? আমরা কি মুসলমান আছি না মুসলমান নাই? এগুলো প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাতে হবে। মারপিট করে কথাবার্তায় হেদায়াত আসবে না। ওয়াজের মাধ্যমে বলছি মুসলমানের দেশে এসব হতে পারে না। বলার আছে বলে দিচ্ছি এভাবে চল, বেইমান হয়ে যাবে। যারা লেখাপড়া জানেন চিঠি লিখে পাঠিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীকে। তারপর প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করবেন। এজন্য ভাইয়েরা প্রধানমন্ত্রীকে নসিহত কর, জনসাধারণকেও নসিহত কর।
পাঠ্যপুস্তকে একাধিক লেখকের লেখা বাদ দিয়ে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে শাহ আহমদ শফী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, সরকার বহুদিন পরে হলেও পাঠ্যপুস্তকে ইসলামকে স্থান দিয়েছেন। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে। সরকার হেফাজতের আন্দোলনের কারণেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রেখেছে।
সংগঠনের ফেনী জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও ঢাকা মহানগরীর আমির আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফতি সাঈদ আহমদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম আদীব, মুফতি শহীদ উল্যাহসহ সংগঠনের জেলা শাখার নেতরা।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
আরআর/এইচএ
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে ফেনী আলিয়া মাদরাসা ময়দানে (মিজান ময়দান) হেফাজতের উদ্যোগে আয়োজিত শানে রিসালাত সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শাহ আহমদ শফী বলেন, লাঠি নিয়ে হাঙ্গামা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে কখনও ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। ইসলাম এসেছে শান্তির মাধ্যমে আর সমাজে তা প্রতিষ্ঠিত হবেও শান্তির মাধ্যমে।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপনের ব্যাপারে তিনি বলেন, মুসলিম দেশে নারী মূর্তি কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। হয় সরকার থাকবে, না হয় এ মূর্তি থাকবে। দু’টো একসঙ্গে কখনোই থাকতে পারে না। প্রয়োজনে আরেকটি ৫ মে আসবে।
হেফাজতের আমির বলেন, মুসলিম দেশে দিনে-রাতে কী হচ্ছে? শরম লাগে। মুসলমানের দেশে এগুলো কী করে হতে পারে? আমরা কি মুসলমান আছি না মুসলমান নাই? এগুলো প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাতে হবে। মারপিট করে কথাবার্তায় হেদায়াত আসবে না। ওয়াজের মাধ্যমে বলছি মুসলমানের দেশে এসব হতে পারে না। বলার আছে বলে দিচ্ছি এভাবে চল, বেইমান হয়ে যাবে। যারা লেখাপড়া জানেন চিঠি লিখে পাঠিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীকে। তারপর প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করবেন। এজন্য ভাইয়েরা প্রধানমন্ত্রীকে নসিহত কর, জনসাধারণকেও নসিহত কর।
পাঠ্যপুস্তকে একাধিক লেখকের লেখা বাদ দিয়ে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে শাহ আহমদ শফী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, সরকার বহুদিন পরে হলেও পাঠ্যপুস্তকে ইসলামকে স্থান দিয়েছেন। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে। সরকার হেফাজতের আন্দোলনের কারণেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রেখেছে।
সংগঠনের ফেনী জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও ঢাকা মহানগরীর আমির আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফতি সাঈদ আহমদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম আদীব, মুফতি শহীদ উল্যাহসহ সংগঠনের জেলা শাখার নেতরা।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
আরআর/এইচএ
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!