মিলাদ কিয়াম নিয়ে আলোচিত ২৫ মে’র বাহাস শেষ পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমাপ্তি টেনেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই পক্ষই দুটি স্থানে আলাদা আলাদা কনফারেন্স করেছে। ফলে দুই পক্ষ এক স্থানে না হওয়ায় বিষয়টি অমিমাসংসিত রেখেই শেষ করতে হলো।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মিলাদ কিয়ামের প্রথম পক্ষ মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর প্রস্তাবিত স্থান যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় জড়ো হন মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী ও তার লোকজন। কিন্তু এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও তার লোকজন এখানে না এসে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনে জড়ো হয়। সেখানে একটি গাছের নিচে বসে তারা ভিডিওর কনফারেন্স করেন।
সূত্র জানায়, পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী রাজধানী যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় বাহাস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৩ মে রাতের বেলা মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী তার নারায়ণগঞ্জ অবস্থিত আব্বাসী মঞ্জিল থেকে ফেইসবুক লাইভে ঘোষণা দেন বাহাস হবে রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের। হঠাৎ করে এই ঘোষণায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ২৪ মে বিকাল ৩.৪০ মিনিটে পাল্টা লাইভ প্রোগ্রাম করে মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী যাত্রাবাড়ীতেই বহস অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন এবং চুক্তি অনুযায়ী তাদের যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় আসতে বলেন। কিন্তু সেটা না শুনেই তারা তাদের ঘোষণা একতরফাভাবে বহাল রাখে।
যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় সরে জমিনে ঘুরে মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী, মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী ও আবদুস সবুর সুমনসহ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আসা উলামায়ে কেরাম ও অসংখ্য ছাত্র-উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। আলেমগণ ফতোয়ার বিভিন্ন কিতাব নিয়ে উপস্থিত হন বাহাসের স্থানে। কিন্তু দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও তার অনুসারীদের কেউ এখানে আসেনি।
দিকে সকাল ৯ টায় আব্বাসী মঞ্জিল নামের ফেসবুক আইডি থেকে একটি লাইভ করা হয়। সেখানে দেখা যায় এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীসহ অনেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনে একটি গাছের নিচে বসে আছেন। লাইভে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা কথা অনুযায়ী বাহাসের জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এসেছি। আশা করছি প্রতিপক্ষও এখানে আসবে এবং আমরা বিজয় অর্জন করবো।
তবে ওই ভিডিওর কমেন্টে অনেক মন্তব্যকারী যাত্রাবড়ীতে না গিয়ে এখানে কেন জিজ্ঞেস করলেও তারা কোনো উত্তর দেননি।
পরে ১০ টার দিকে মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে সেখান থেকে চলে যান।
এদিকে সকাল ৯.৫৭ মিনিটে ফেইসবুক লাইভে মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী ও মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী বলেন, আপনারা বলছেন যাত্রাবাড়ী শায়েখ বাহাসের জন্য অনুমতি দেননি তাহলে আমরা যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় এলাম কি করে? আমাদের উপস্থিতিই বড় প্রমাণ তিনি অনুমতি দিয়েছেন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!