Saturday, May 27, 2017

লা মাযহাবীদের যুক্তি ছাড়া কিছু আছে কি?

রাসূলের(সা.) যুগে মুনাফিকেরা যেভাবে অবান্তর কথা-বার্তা সংগ্রহ করত সাধারন মুসলমানকে বিপথগামী করার জন্য,ঠিক তেমনিভাবে আহলে হাদীস নামধারী কিছু মূর্খ নারী ও পুরুষ আছে যারা বর্তমানে মানুষকে গোমরা করার জন্য অবান্তর কথা-বার্তা সংগ্রহ করে।তেমনি কিছু অবান্তর প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে আমাদের।
তার আগে আসুন দেখি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. কি বলেছেন -----
আল্লাহতালার বানী↓
ومن الناس من يشتري لهو الحديث ليضل عن سبيل الله بغير علم ويتخذها هزوا أولئك لهم عذاب مهين
(লোকমান - ৬)
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন______
عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ اللهَ تَعَالَى يَرْضَى لَكُمْ ثَلاَثاً، وَيَكْرَهُ لَكُمْ ثَلاَثاً : فَيَرْضَى لَكُمْ أَنْ تَعْبُدُوهُ، وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيئاً، وَأَنْ تَعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللهِ جَمِيعاً وَلاَ تَفَرَّقُوا، وَيَكْرَهُ لَكُمْ : قِيلَ وَقَالَ، وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةَ المَالِ» . رواه مسلم
আবূ হুরাইরা (রাঃ)তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য তিনটি জিনিস পছন্দ করেন এবং তিনটি জিনিস অপছন্দ করেন। তিনি তোমাদের জন্য পছন্দ করেন যে, তোমরা তাঁর ইবাদত কর, তার সঙ্গে কোন কিছুকে অংশী স্থাপন করো না এবং আল্লাহর রজ্জুকে জামাআতবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ো না। আর তিনি তোমাদের জন্য যা অপছন্দ করেন তা হল, অহেতুক আলোচনা-সমালোচনায় লিপ্ত হওয়া, অধিকাধিক প্রশ্ন করা এবং ধন-সম্পদ বিনষ্ট করা।’’
রিয়াদুস সালেহিন, হাদিস নং ১৭৯০
গতকাল এই গ্রুপে এক চোদ্দবেসি আহলে হাদীস মহিলা কিছু প্রশ্ন করে ফিতনার উদ্দেশ্যে,অথচ প্রশ্ন শেষে করেই, একের পর এক মিথ্যা বলতে থাকে।
প্রশ্ন দেখুন নীচের স্ক্রিনশটে।
এখন এইসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল।
#১নং_জবাব!
মুসলমান হওয়ার জন্য নবীর কালিমা পড়া আবশ্যক। তাহলে নবীজী সাঃ নিজে কার কালিমা পড়েছেন?
সাহাবী(রা.) গণ, তাবেঈন,তবে তাবেঈনগণ এর যুগে ছিল মুক্ত তাকলীদ(মাযহাব)।
#২নং_জবাব
জামাত সহীহ হওয়ার জন্য ইমামের পিছনে ইক্তিদা করা জরুরী। তাহলে ইমাম কার ইক্তিদা করে থাকেন?
#৩নং_জবাব!
তারা নিজেরাই ইমাম ছিলেন,আর ইমাম কি কারো ইকতেদা করেন না কি করা জরুরী?
রাসূল সাঃ এর হাদীসকে ছয় কিতাবে বিভক্ত করতে হবে এটা কখন নাজিল হয়েছে?
কুরআন সাত কিরাতে নাজিল হবার পরও এক কিরাতে সীমাবদ্ধ করার বিষয়টি কখন নাজিল হয়েছে?
মুহাদ্দিসদের বানানো পরিভাষা “সহীহ” জঈফ” ইত্যাদি তৈরী করে রাসূল সাঃ এর হাদীসকে ভাগ করার বিধান কখন নাজিল হয়েছে?
#৪নং_জবাব!
ফরজ হলো, অবশ্য পালনীয়, আর  মাযহাব মানা ওয়াজিব।
#৫নং_জবাব!
খিয়াল করেন বলা হয়েছে "যদি যায় তবে" কিন্ত "যাবে" একথা বলা হয় নি। আরেকটা কথা সকল মুহাদ্দিগণই একমত যে, মুজতাহিদ যদি ইজতেহাদে ভুল করে তবুও একটা সওয়াব পাবে আর সটিক হলে পূর্ন ২ টা সওয়াব পাবে।।  ইমাম আবু হানিফার এমন কিছু মাসালা দেখবেন  যে তা পুরোপুরি কোরান হাদিস বিপরিত।
#৬নং_জবাব!
মাযহাব আরো ছিল অন্য গুলো রহিত হয়ে গেছে বর্তমানে এই ৪ মাযহাব প্রচলিত।।। একমাত্র মুজতাহিদ ছাড়া সবাই কে এই ৪ মাযহাব এর কোন একটি মানতে হবে। মাযহাব যারা মানে না তারা গোমরা।
#৭নং_জবাব!
সিয়া সিওার লেখক কি বলেছেন তাদের লিখিত কিতাব মানতে?
তাহলে তাদের লিখিত কিতাব থেকে হাদীস দেন কেন?
মাযহাব মানতে হবে কোরাআন হাদীসে বলা হয়েছে।
দ্রঃ সূরা নিসা ৫৯// তাওবা ১২৩// নাহল ৪৩ প্রভৃতি।
#৮নং_জবাব!
কারন তারা মুজতাহিদ ছিলেন।
#৯নং_জবাব!
হা অবশ্যই মাযহাব কোরআন, হাদিস অনুসরন করেই হয়েছে। কিন্ত আপনার আমার মত ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে কোরআন, হাদিস থেকে সকল সমাদান বের করা সম্ভব কি? পারবো না তাই বিজ্ঞ মুজতাহিদেকে অনুসরন করা জরুরি।
((( যদি পারেন তাহলে দুধে মশা পড়ে গেলে সেই দুধকে কি করতে হবে? কোরআন,হাদীসের আলোকে দলীল দিন? কোন মুজতাহিদ অনুসরন করলে হবে না। আর খিয়াল রাখবেন মাছি বলিনি, মশা বলেছি।আর পবিত্র কোরআনে একটা আয়াত আছে, যেখানে চার বার নামাযের কথা এসেছে তা বাহির করে বুঝিয়ে দিন?)))
#১০নং_জবাব!
মুসলমানদের মাঝে মাত্র ২০% হবে নামাজি, কিন্তু ৮০%মুসলমানই নামাজ পড়ে না, যারা নামাজ পড়ে না তাদের কাছে কেন তারা কিছু বলে না? যে ২০% পড়ে তাদের কে কেন লা মাযহাবিরা বিভ্রান্ত করে চলেছে?লা মাযহাবিরা যখন সরল মনা মুসলমানদের ইমান নষ্ট  করিতেছে, গোমরা করতেছে তাদের কে সটিক পথ দেখানো কার দায়িত্ব। ঐক্য দেখবেন নাকি তাদের ইমান বাচানো চেষ্ট করবেন?
আল্লাহতালার কাদের আদেশ দিয়েছেন সেটাও বাহির করে কমেন্টে পেশ করুন?

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!