একবার আলীগড় মুসলিম ইউনির্ভাসিটিতে এক সেমিনারে আমন্ত্রিত হলেন দারুল উলুম দেওবন্দ এর সুনামধন্য মুহতামিম হাকীমুল ইসলাম মাওলানা ক্বারী তাইয়্যব (রহঃ)। এ নিয়ে আলীগড়ে তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল। বামপন্থী ছাত্রদের আদিপত্য তখন আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি ছিল। তারা দেওবন্দের একজন মৌলবাদী আলেমের আলী গড়ে আমন্ত্রিত হওয়ার বিরুদ্ধে তুমুল ছাত্র আন্দোলন শুরু করল। ধর্মঘট, ক্লাস বর্জন, মিছিল সমাবেশ, ভিসির কার্যালয় ঘেরাও সবই হল। এমনকী ক্বারী তাইয়্যব কে সেখানে গেলে হত্যা করার ঘোষনা দিল বামপন্থি মুসলিম ছাত্র নেতারা। প্রশাসন বাধ্য হয়েই সেই সেমিনার ও তার প্রোগ্রামকে বাতিল করল।
এভাবে বাম রাজনীতির আধিপত্যের ভিতর দিয়েই আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেটে গেল ১০ বছর।
এবার আলীগড়ের ছাত্র-শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল তার সাথে দেওবন্দে গিয়ে সাক্ষাত করলো। ক্বারী তাইয়্যব (রহঃ) কে তারা আলীগড়ে দাওয়াত দিল। তিনি তাদেরকে দশ বছর পূর্বের সেই নেক্কারজনক ঘটনার কথা স্মরন করিয়ে দিলেন। তারা জানালেন হয়রত আলীগড় ভার্সিটির সেই পরিবেশ আর নেই। এমন কিছু হবে না। তিনি দাওয়াত কবুল করলেন।
নির্ধারিত দিন তিনি সফর সঙ্গিদের নিয়ে আলীগড়ের দিকে রওয়ানা হলেন। আলীগড় পৌছা মাত্রই তিনি দেখলেন ভার্সিটির মূল ফটকের বাহিরে ত্বালেবে এলেমদের দীর্ঘ লাইন রাস্তার দু পাশে। যাদের পড়নে লম্বা সফেদ পান্জাবী, বুক পকেটে মেসওয়াক, হাতে তাসবিহ, আর মাথায় সাদা পাগড়ি। ক্বারী তাইয়্যব বিস্মিত হলেন। সাথীদের বললেন, তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছ। তোমরা না বললে আজ আলীগড়ে আমার কথা বলার কথা। সাথীরা জানাল এই তো আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক। এরা আলীগড়ের ছাত্র যারা আপনাকে ইস্তেকবাল করতে এসেছে। অবাক বিস্ময়ে হাকীমুল ইসলাম জিজ্ঞাসা করলেন, মাত্র দশ বছরে এদের মধ্যে এই বিপ্লবিক পরিবর্তন কিভাবে এলো, যারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল আজ তারা স্বাগত – সম্ভাষণ করছে!। সাথীরা জবাব দিল এটা দিল্লীর হয়রতজীর ছাহেবজাদা মাওলানা ইউসুফ (রহঃ) এর দাওয়াতের মেহনতের ফসল।
তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে ছাত্র শিক্ষকদের জোড়ে গেলেন। গিয়ে বললেন আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি দেওবন্দের ছাত্রদের সামনে বসে আছি। তাদের কারগুজারী নিলেন। এক শিক্ষক দাড়িয়ে কেঁদে দিয়ে বললেন, আমি সেই লোক যিনি দশ বছর আগে আপনার বিরুদ্ধে পুরো ক্যম্পাসকে ক্ষেপিয়ে তুলে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, আজ তাবলীগের মেহনতে আমি আপনার গোলাম হতে প্রস্তুত।
ক্বারী তাইয়্যব নসিহত করতে গিয়ে আবেগে কাঁদলেন। বয়ান শেষ করে সোজা নিজামুদ্দীনের মার্কাজে চলে এলেন, এর পর থেকে আজীবন তাবলীগের কাজে সময় দিয়েছেন। মেওয়াতের যে কোন জোড় ও ইজতেমাতে শরীক হতেন। দেওবন্দের ছাত্রদের নিয়ে লম্বা সফর করতেন। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাবলীগের এসব অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গ্রন্থ লিখেছেন, “কিয়া তাবলীগী মেহনত জরুরী হ্যায়”।
গ্রন্থের শুরুতে হযরত লিখেছেন, সমাজ বিপ্লবের মূল চাবিকাঠিই হল পরিকল্পিত দাওয়াতের মেহনত। প্রথম যামানার দাওয়াতী মেহনতই শেষ জামানার উম্মতের সংশোধনের একমাত্র পদ্ধতি।
তিনি আরো লিখেছেন,এছলাহে নফসের চারটি অংশ এবং চারটি পদ্ধতি রয়েছে।
১.সৎ লোকের সান্নিধ্যে ২. জিকির ও ফিকির ৩.আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব বন্ধন ৪.আত্ম সমালোচনা।
আর এই চারটি জিনিসের সমষ্টির নামই হল তাবলীগ জামাত। সাধারন ও আধুনিক জীবনধারায় অভ্যস্ত মানুষেন জন্য এর চেয়ে উত্তম কোন পথ হতে পারে না।
═════════════════════
✓দ্বীনী এই পোস্ট শেয়ার করে ইসলামের আলো পৌঁছে দিন প্রিয়জনদের কাছে।
✓দ্বীনী হিদায়াতের সমুজ্জ্বল আলোকরশ্মিতে আলোকিত হোক মুমিনদের হৃদয়। ═════════════════════
এভাবে বাম রাজনীতির আধিপত্যের ভিতর দিয়েই আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেটে গেল ১০ বছর।
এবার আলীগড়ের ছাত্র-শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল তার সাথে দেওবন্দে গিয়ে সাক্ষাত করলো। ক্বারী তাইয়্যব (রহঃ) কে তারা আলীগড়ে দাওয়াত দিল। তিনি তাদেরকে দশ বছর পূর্বের সেই নেক্কারজনক ঘটনার কথা স্মরন করিয়ে দিলেন। তারা জানালেন হয়রত আলীগড় ভার্সিটির সেই পরিবেশ আর নেই। এমন কিছু হবে না। তিনি দাওয়াত কবুল করলেন।
নির্ধারিত দিন তিনি সফর সঙ্গিদের নিয়ে আলীগড়ের দিকে রওয়ানা হলেন। আলীগড় পৌছা মাত্রই তিনি দেখলেন ভার্সিটির মূল ফটকের বাহিরে ত্বালেবে এলেমদের দীর্ঘ লাইন রাস্তার দু পাশে। যাদের পড়নে লম্বা সফেদ পান্জাবী, বুক পকেটে মেসওয়াক, হাতে তাসবিহ, আর মাথায় সাদা পাগড়ি। ক্বারী তাইয়্যব বিস্মিত হলেন। সাথীদের বললেন, তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছ। তোমরা না বললে আজ আলীগড়ে আমার কথা বলার কথা। সাথীরা জানাল এই তো আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক। এরা আলীগড়ের ছাত্র যারা আপনাকে ইস্তেকবাল করতে এসেছে। অবাক বিস্ময়ে হাকীমুল ইসলাম জিজ্ঞাসা করলেন, মাত্র দশ বছরে এদের মধ্যে এই বিপ্লবিক পরিবর্তন কিভাবে এলো, যারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল আজ তারা স্বাগত – সম্ভাষণ করছে!। সাথীরা জবাব দিল এটা দিল্লীর হয়রতজীর ছাহেবজাদা মাওলানা ইউসুফ (রহঃ) এর দাওয়াতের মেহনতের ফসল।
তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে ছাত্র শিক্ষকদের জোড়ে গেলেন। গিয়ে বললেন আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি দেওবন্দের ছাত্রদের সামনে বসে আছি। তাদের কারগুজারী নিলেন। এক শিক্ষক দাড়িয়ে কেঁদে দিয়ে বললেন, আমি সেই লোক যিনি দশ বছর আগে আপনার বিরুদ্ধে পুরো ক্যম্পাসকে ক্ষেপিয়ে তুলে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, আজ তাবলীগের মেহনতে আমি আপনার গোলাম হতে প্রস্তুত।
ক্বারী তাইয়্যব নসিহত করতে গিয়ে আবেগে কাঁদলেন। বয়ান শেষ করে সোজা নিজামুদ্দীনের মার্কাজে চলে এলেন, এর পর থেকে আজীবন তাবলীগের কাজে সময় দিয়েছেন। মেওয়াতের যে কোন জোড় ও ইজতেমাতে শরীক হতেন। দেওবন্দের ছাত্রদের নিয়ে লম্বা সফর করতেন। তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাবলীগের এসব অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গ্রন্থ লিখেছেন, “কিয়া তাবলীগী মেহনত জরুরী হ্যায়”।
গ্রন্থের শুরুতে হযরত লিখেছেন, সমাজ বিপ্লবের মূল চাবিকাঠিই হল পরিকল্পিত দাওয়াতের মেহনত। প্রথম যামানার দাওয়াতী মেহনতই শেষ জামানার উম্মতের সংশোধনের একমাত্র পদ্ধতি।
তিনি আরো লিখেছেন,এছলাহে নফসের চারটি অংশ এবং চারটি পদ্ধতি রয়েছে।
১.সৎ লোকের সান্নিধ্যে ২. জিকির ও ফিকির ৩.আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব বন্ধন ৪.আত্ম সমালোচনা।
আর এই চারটি জিনিসের সমষ্টির নামই হল তাবলীগ জামাত। সাধারন ও আধুনিক জীবনধারায় অভ্যস্ত মানুষেন জন্য এর চেয়ে উত্তম কোন পথ হতে পারে না।
═════════════════════
✓দ্বীনী এই পোস্ট শেয়ার করে ইসলামের আলো পৌঁছে দিন প্রিয়জনদের কাছে।
✓দ্বীনী হিদায়াতের সমুজ্জ্বল আলোকরশ্মিতে আলোকিত হোক মুমিনদের হৃদয়। ═════════════════════
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!