ইয়া আল্লাহ! কেয়ামত এত সন্নিকটে!
লীগ বিএনপি জামাত এমনকি আটরশি মাইজভান্ডারী সমর্থক অনেক ভাইদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। কারও কারও সঙ্গে তো বেশ ভালো ওঠাবাসাও হয়।
আমার মাদরাসার জাতীয় ইসলামী মহাসম্মেলন ২০ মার্চ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা মাশায়েখ ও ওয়ায়েজীন দাওয়াত দিয়ে থাকি।
এবার চিন্তা করেছিলাম আযহারীকেও দাওয়াত দেবো। সাইমুম সাদী ভাই আর Jaber এর সঙ্গেও নাকি মাঝে মাঝে কথা হয় তার।
Hasib বলেছিল দাদা দাওয়াত দিলে মন্দ হবে না। যদিও জামাত মনোভাবাপন্ন ওয়ায়েজ তবুও উদারতার একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হোক। তা ছাড়া আপনিও যেহেতু ঐক্য নিয়ে কথা বলেন, সেটারও একটা দৃষ্টান্ত হবে। ভাবি— মুরব্বীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো, কিন্তু এর মাঝেই আযহারী সাহেব একের পর এক বিতর্ক জন্ম দিতে শুরু করলেন! মুরব্বীদের সঙ্গে আলোচনা করার আর প্রয়োজনবোধই করিনি।
চুপই ছিলাম। কিন্তু এভাবে একজন আলেম ভুল করতে থাকলে তা নিয়ে মুখ খোলা ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব।
অনেকে বলতে চান— তার ভুলগুলো তাকে পার্সোনালী বলতে হবে। মূলত তার ভুল যে সমাগমে হয়েছে, তাতে পার্সোনালী বললে হবে না। বরং হয়ত ঐরকম ভরা সমাগমে ক্ষমা চাইতে হবে, নয়ত অন্য আলেম তার ভুল সম্পর্কে অবগত করবেন। কারণ তার ভুলগুলো জনসমুদ্রে হয়েছে এবং ইউটিউবের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে তাকে ব্যক্তিগতভাবে বললে জাতি ধোঁয়াশার মাঝে থেকে যাবে।
ওলামায়ে কেরামের কেউ কেউ সেই কাজটা করছেন। কিন্তু একশ্রেণীর লোক সেই আলেমদের যা তা ভাষায় সম্বোধন করছে! লক্ষ্য করে দেখলাম তারা কেউ আলেম নয়! আলেম তো দূরের কথা, সূরা কাওসারও শুদ্ধ করে পড়তে পারবে বলে মনে হয় না। এমন লোকগুলো আলেমদের সমালোচনা করে কী করে? আজীব ব্যাপার নাকি ভয়ঙ্কর ব্যাপার? আলেমদের সমালোচনা তো করছেই, পাশাপাশি সনদও দিচ্ছে আযহারী যা বলছে তাই ঠিক! ইয়া আল্লাহ! কেয়ামত এত সন্নিকটে!
তাদের বিপক্ষে কেউ বললেই সংঘবদ্ধভাবে অশালীন শব্দের ভান্ডার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই বিপদজনক অন্ধভক্ত জাতিকে কে থামাবে?
আযহারী সাহেবের উচিৎ— যেসব আলেম তার ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন, তাদেরকে ধন্যবাদসহ ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং তার ভক্তকূলে যারা না জেনে না বুঝে আলেমদের সমালোচনা করে আগুন নিয়ে খেলছে, তাদেরকে বিরত থাকার আহ্বান করা।
আর যদি তিনি মনে করেন এভাবে একের পর ভুলভাল বক্তব্য দিয়ে শর্টকাট ইসলাম শেখাবেন, তাহলে বিশাল এক সমর্থকগোষ্ঠীও তিনি পাবেন, যারা বেপর্দা করেও জান্নাতের সুসংবাদ (!) পেয়ে শর্টকাট ইসলামের প্রতি ধাবিত হবে। তবে তাতে ইসলামের উপকার হবে না, হবে অপূরণীয় ক্ষতি।
যার বয়ান শুনে পাবলিক আলেমবিরোধী হয়ে যায়, আর যাই হোক সেটা জাতির জন্য অশনি সঙ্কেত। শ্রোতার মাঝে বাস্তবিক আমলের পরিবর্তন হলে সে কখনও আলেমের বিরুদ্ধে বলতে পারে না। শুভাকাঙ্খী হিসেবে পরামর্শ দিলাম। মানা না মানা তার ব্যাপার। কুমিল্লায় তার মাহফিল বন্ধ করায় গত কয়েকদিন আগে কুমিল্লার এক মাহফিলে জোরালো প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু ওভার স্মার্ট দেখাতে গিয়ে বারবার অন্যায় করলে তো চুপ করে থাকা যায় না। তাই পরামর্শ হিসেবে কথাগুলো বললাম।
__মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ
প্রতিষ্ঠাতা, মারকাযুত তাকওয়া রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
লীগ বিএনপি জামাত এমনকি আটরশি মাইজভান্ডারী সমর্থক অনেক ভাইদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। কারও কারও সঙ্গে তো বেশ ভালো ওঠাবাসাও হয়।
আমার মাদরাসার জাতীয় ইসলামী মহাসম্মেলন ২০ মার্চ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা মাশায়েখ ও ওয়ায়েজীন দাওয়াত দিয়ে থাকি।
এবার চিন্তা করেছিলাম আযহারীকেও দাওয়াত দেবো। সাইমুম সাদী ভাই আর Jaber এর সঙ্গেও নাকি মাঝে মাঝে কথা হয় তার।
Hasib বলেছিল দাদা দাওয়াত দিলে মন্দ হবে না। যদিও জামাত মনোভাবাপন্ন ওয়ায়েজ তবুও উদারতার একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হোক। তা ছাড়া আপনিও যেহেতু ঐক্য নিয়ে কথা বলেন, সেটারও একটা দৃষ্টান্ত হবে। ভাবি— মুরব্বীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো, কিন্তু এর মাঝেই আযহারী সাহেব একের পর এক বিতর্ক জন্ম দিতে শুরু করলেন! মুরব্বীদের সঙ্গে আলোচনা করার আর প্রয়োজনবোধই করিনি।
চুপই ছিলাম। কিন্তু এভাবে একজন আলেম ভুল করতে থাকলে তা নিয়ে মুখ খোলা ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব।
অনেকে বলতে চান— তার ভুলগুলো তাকে পার্সোনালী বলতে হবে। মূলত তার ভুল যে সমাগমে হয়েছে, তাতে পার্সোনালী বললে হবে না। বরং হয়ত ঐরকম ভরা সমাগমে ক্ষমা চাইতে হবে, নয়ত অন্য আলেম তার ভুল সম্পর্কে অবগত করবেন। কারণ তার ভুলগুলো জনসমুদ্রে হয়েছে এবং ইউটিউবের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে তাকে ব্যক্তিগতভাবে বললে জাতি ধোঁয়াশার মাঝে থেকে যাবে।
ওলামায়ে কেরামের কেউ কেউ সেই কাজটা করছেন। কিন্তু একশ্রেণীর লোক সেই আলেমদের যা তা ভাষায় সম্বোধন করছে! লক্ষ্য করে দেখলাম তারা কেউ আলেম নয়! আলেম তো দূরের কথা, সূরা কাওসারও শুদ্ধ করে পড়তে পারবে বলে মনে হয় না। এমন লোকগুলো আলেমদের সমালোচনা করে কী করে? আজীব ব্যাপার নাকি ভয়ঙ্কর ব্যাপার? আলেমদের সমালোচনা তো করছেই, পাশাপাশি সনদও দিচ্ছে আযহারী যা বলছে তাই ঠিক! ইয়া আল্লাহ! কেয়ামত এত সন্নিকটে!
তাদের বিপক্ষে কেউ বললেই সংঘবদ্ধভাবে অশালীন শব্দের ভান্ডার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই বিপদজনক অন্ধভক্ত জাতিকে কে থামাবে?
আযহারী সাহেবের উচিৎ— যেসব আলেম তার ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন, তাদেরকে ধন্যবাদসহ ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং তার ভক্তকূলে যারা না জেনে না বুঝে আলেমদের সমালোচনা করে আগুন নিয়ে খেলছে, তাদেরকে বিরত থাকার আহ্বান করা।
আর যদি তিনি মনে করেন এভাবে একের পর ভুলভাল বক্তব্য দিয়ে শর্টকাট ইসলাম শেখাবেন, তাহলে বিশাল এক সমর্থকগোষ্ঠীও তিনি পাবেন, যারা বেপর্দা করেও জান্নাতের সুসংবাদ (!) পেয়ে শর্টকাট ইসলামের প্রতি ধাবিত হবে। তবে তাতে ইসলামের উপকার হবে না, হবে অপূরণীয় ক্ষতি।
যার বয়ান শুনে পাবলিক আলেমবিরোধী হয়ে যায়, আর যাই হোক সেটা জাতির জন্য অশনি সঙ্কেত। শ্রোতার মাঝে বাস্তবিক আমলের পরিবর্তন হলে সে কখনও আলেমের বিরুদ্ধে বলতে পারে না। শুভাকাঙ্খী হিসেবে পরামর্শ দিলাম। মানা না মানা তার ব্যাপার। কুমিল্লায় তার মাহফিল বন্ধ করায় গত কয়েকদিন আগে কুমিল্লার এক মাহফিলে জোরালো প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু ওভার স্মার্ট দেখাতে গিয়ে বারবার অন্যায় করলে তো চুপ করে থাকা যায় না। তাই পরামর্শ হিসেবে কথাগুলো বললাম।
__মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ
প্রতিষ্ঠাতা, মারকাযুত তাকওয়া রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!