এখানে একটি প্রশ্ন হইতে পারে যে, আলেমদের মতবিরোধই উম্মতের ধ্বংসের কারণ ৷ ক্ষেত্র বিশেষে তাহা সত্য হইলেও ইহা দ্রুব সত্য যে, আলেমদের এই মতবিরোধ কোন নুতন নয় ৷ পঞ্চাশ বা শত বৎসরের নয় বরং হজর জামানা হইতে উক্ত এখ্তেলাফ চলিয়া আসিয়াছে ! একদিন হুজুর স্বীয় পাদুকা মোবারক হজরত আবু হোরায়রা কে নিদর্শন স্বরূপ দান করিয়া এই বাণী ঘোষণা করিতে পাঠাইলেন, যে ব্যক্তি লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়িবে সে নিশ্চয় বেহেশতে প্রবেশ করিবে ৷ পথিমধ্যে হজরত ওমরের সহিত সাক্ষাৎ হইল ৷ তিনি সব ঘটনা জিজ্ঞাসা করিলেন ও শুনিলেন ৷ তবুও হজরত ওমর আবুহোরায়রা বুকে উভয় হাত দ্বারা এত জোরে ধান্ধা দিলেন যে, তিনি মাটিতে বসিয়া গেলেন ৷ কিন্তু এতদ্সত্বেও হজরত ওমর বিরুদ্ধে কোন পোষ্টার বা বিজ্ঞাপন ছাপানো হয় নাই বা প্রতিবাদ সভা করিয়া তাহার বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাবও পাস হয় নাই ৷ ছাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে এখ্তেলাফযুক্ত হাজার হাজার মাছায়েল রহিয়াছে | তদুপরি চারি ইমামের কাছে সম্ভবতঃ এমন কোন মাছআলা নাই যাহাতে কোন মতভেদ হয় নাই ৷ চার রাকাত নামাজের মধ্যে নিয়ত হইতে আরম্ভ করিয়া ছালাম পর্যন্ত প্রায় দুইশত মাছায়েলের মধ্যে আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে মত-বিরোধ রহিয়াছে ৷ তদুপরি কে জানে আরো কত এখ্তেলাফ রহিয়াছে,আলেমদের মতবিরোধ রহমত স্বরূপ
কিন্তু সাধারণতঃ রফে ইয়াদাইন হাত উঠানো) ও জোরে আমীন বলা ইত্যাদি কয়েকটি মাছায়েল ব্যতীত অন্য কোন এখতেলাফ শুনাই যায় না ৷ এইসব এখ্তেলাফের জন্য না কোন প্রকার পোস্টারর ছাপানো হইয়াছে না কোন প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হইয়াছে ৷ রহস্য এই যে সাধারণ মানুষ ঐসব মতভেদ ঘুণাক্ষরেও জানে না ৷ বরং আলেমদের রহমত স্বরূপ ৷ কারণ কোন আলেম যদি প্রমাণ সহকারে কোন প্রদান করে তবে অন্য আলেমদের নিকট সঠিক প্রমাণিত না হইলে শরীয়ত মতে সে এখ্তেলাফ করিতে বাধ্য ! নচেৎ সে মোদাহেন (থোশামদকারী) ক্র গোনাহ্গার বলিয়া গণ্য হইবে ৷ বাস্তব কথা এই যে, যাহারা কোন কাজের নয়, তাহারাই নানারূপ হিলা বাহানার পিছনে পড়ে ৷ নতুবা ডাক্তারদের মধ্যে এখ্তেলাফ হইয়া থাকে ৷ উকিলদের মধ্যে মতবিরোধ রহিয়াছে ! তাই বলিয়া কেহ চিকিৎসা ছাড়িয়া দেয় না বা মোকদ্দমা হইতেও বিরত থাকে না ৷ তবে কেন শুধু আলেমদের মতবিরোধের উপর বৃথা আপত্তি তুলিয়া দ্বীনের কাজে অনর্থ ঘটানো হইতেছে ৷ সত্যিকার আমলকারীর জন্য জরুরী সে যেন যে কোন আলেমকে ছুগ্নতের পাবন্দ হিসাবে ভাল মনে করে এবং অন্যদের উপর অনর্থক আক্রমন ও কট- বোক্য হইতে বিরত থাকে | শরীয়তের প্রকৃত দলিল উপলদ্ধি করার যাহার বোধ শক্তি নাই, তাহার জন্য ওলামাদের বিতর্কে অংশ গ্রহণ করার কোন অধিকার নাই | নবীয়ে করীম বলেন, অনুপযুক্ত লোক হইতে এলেম হাসেল করা ; উহাকে ধ্বংস করারই নামান্তর ৷ কিন্তু যেখানে ধর্মহীনতা এতটুকু পৌছিয়াছে যে, ঈ প্রত্যেকেই আল্পাহ ও তদীয় রাহুল প্রকাশ্য নির্দেশাবলীর উপর দোষারুপই করা হউক না কেন উহাকে কমই বলা চলে | "". আল্লাহ পাক বলেন, যাহারা আল্লাহর সীমা অতিক্রম করে তাহারাই জালেম !
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!