Thursday, March 9, 2017

তাহলে আমরা পীর মানলে নাকী শীরক করি ?

কথিত আহলে হাদিস লামাযহাবী ভাইয়েরা, কোরান হাদিস ছাড়া নাকী কাউকে অনুসরন করা যাবেনা ?
এখন বলো দেখি পীর মেনে আমরা মোশরেক হইলাম নাকী তোমরা আল্লাহ এবং রাসুল (সা:) এর কথা না মেনে তোমরা ?
ভাই কোরআনেই আছে। আল্লাহ নিজেই বলেছেন কোন বিষয় জানা না থাকলে জ্ঞানীদের কাছ থেকে জেনে নাও। আল্লাহ কিন্তু বলেননি যে অনুবাদ পড়ে জেনে নাও।
অল্প শিক্ষিত লোকেরা নন, এমন কি এক শ্রেণীর উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা ও পীর বা শায়খ না ধরার পক্ষে বিভিন্ন রকমের মনগড়া যুক্তি প্রদর্শন করে থাকেন। তাদের ধারণা পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রোযা, ইত্যাদি ঠিক রাখলেই যথেষ্ট। পীর ধরতে হয় না। আসলেই সবখানে মনগড়া যুক্তি প্রচার করে নিজেকে বুদ্ধিজীবি বলে জাহির করাটা ঠিক নয়।
হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান, “যে ব্যাক্তি নিজের বুদ্ধিকে যথেষ্ট মনে করে, সেই ব্যক্তি গোমরাহ্‌”।
হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, “প্রত্যেক মুসলমান নরনারী জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।”
ইলম বা জ্ঞান দু’প্রকার।
ক্বলবী ইলম্‌ যা উপকারী ইলম,
জবানী ইলম যা আল্লাহ পাকের তরফ থেকে, বান্দার জন্য দলিল স্বরূপ।
অর্থাৎ, একটি হল, ইলমে ফিকাহ্‌ ও ইলমে তাসাউফ, ইলমে শিক্ষা করা ফরজ বলতে বোঝায়, ইলমে ফিকাহ্‌ ও ইলমে তাসাউফ, উভয়টিই জরূরত আন্দাজ শিক্ষা করা ফরজ।
মেশকাত শরীফের শরাহ্‌ “মেরকাত” শরীফে হযরত ইমাম মালেক (মালেকী মাযহাবের ইমাম) এর উক্তি উল্লেখ করেছেন, 
যে ইলমে  ফিকাহ্‌ শিক্ষা করল, ইলমে তাসাউফ (মারেফাত) শিক্ষা করল না, সে ফাসেক অর্থাৎ গুনাহ্‌গার, আর যে ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করল, কিন্তু  শরীয়তের ধার ধারলনা, সে যিন্দিক।
আর যে ব্যক্তি দু’টিই শিক্ষা করল, সে মোহাক্কিক।
হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) ও “কিমিয়ায়ে ছা আদাত” কিতাবে একই কথা বলেছেন। ইলমে ফিকাহ্‌ বা শরীয়তের ইলম্‌ অর্থাৎ ওযু, গোসল, ইস্তিঞ্জা ইত্যাদি শিক্ষার জন্য যেমন ওস্তাদ গ্রহণ ফরয।
মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে বা বাড়ীতে কোন আলেমের কাছ থেকে ইলমে  ফিকাহ্‌ অর্থাৎ শরীয়তের জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয় কিন্তু পীর বা শায়খ ছাড়া ইলমে  তাসাউফ অর্থাৎ মারেফাতের জ্ঞান লাভ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয় না।
মারেফাত অর্থ আল্লাহকে চেনা। আর আল্লাহকে চেনা ফরয। আত্নশুদ্ধি লাভ করা যেহেতু ফরয, সেহেতু ইলমে তাসাউফ বা মারেফাত শিক্ষ করা ও ফরয।
প্রসংগঃ  পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয় মুরশীদ। মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর।
“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে  সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”।
এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।
সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের বিধান মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা করে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান পালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজের মাঝেই যখন শরীয়ত নেই, সে কিভাবে অন্যকে শরীয়তের উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।
আর পীর মুরীদির এ পদ্ধতি রাসূল (সাঃ) থেকে চলে আসছে। রাসূল (সাঃ) সাহাবাদের আল্লাহমুখী হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতেন। সাহাবারা রাসূল (সাঃ) এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। বলা যায় রাসূল (সাঃ) হলেন সবচেয়ে প্রথম ও বড় পীর, ও সাহাবায়ে কিরাম হলেন প্রথম মুরীদ।
পির-মুরীদি আহলে হাদিস নামধারী ভন্ডরা কি ভাবে কোরআন ও হাদিস অস্বীকার করে দেখুন  তারা বলে, পির-মুরীদি বলতে ইসলামে কিছু নাই।যারা পির-মুরীদি করে তারা নাকি বেদাতি।
তাদের বক্তব্য অনুযায়ি আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও কি বেদাতি??? নাউজুবিল্লাহ।
তবে কতিপয় ধর্ম ব্যবসায়ী ও বেদাতি ভন্ড, মাজার পুজারী যেমন,- দেওয়ানবাগী, রাজারবাগী, মাইজভান্ডারী, কুতুব্বাগী, আটরশী ইত্যাদি পির-মুরিদিকে ব্যাবসার পুজি বানিয়ে ধর্মব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের থেকে দূরে থাকা ইমানের দাবি।
যারা বলে নবীজী কোনো কারো পীর ছিলোনা ?
তাদের প্রশ্ন করি : তিনি কি শায়েখ ছিলেন ?
কোরানের আয়াত বা তোমাদের বুখারী শরীফের রেফারেন্স দিতে হবে ।
কোরানের কোন আয়াতে বা বুখারি শরিফর কোন হাদিসে লিখা আছে শায়েখ শব্দটি ?
যদি কোরান-বুখারি শরিফে শায়েখ লেখা না থাকে , তাহলে তোমরা তোমাদের মতি-আলভানি বাবাদের  তোমরা শায়েখ বলো কেনো ? এইটাতো মস্ত বড় বিদাত, তাইনা ? উওর দাও ?
যারা বলে নবীজি (সা:) এর কোনো পীর বা শায়েখ বা ওস্তাদ নাই ?
তাদেরকে প্রশ্ন করি ?
আল্লাহ কোরানে বলেছেন যে, আল্লাহ নবী (সা:) নিজে শিক্ষা দিয়েছেন কোরান, আর যে শিক্ষা দেয়, সেইতো শিক্ষক হয় . আর যাকে আরবিতে বলা হয় শায়েখ আর ফার্সিতে বলা হয় পীর , এখন তোমরা যদি মানুষের বাচ্চা হও ?
তাহলে এবার বলো দেখি নবী (সা:) এর পীর কি ছিলো নাকী ছিলোনা ?
কি কইতাম আহাফি  আবুজাহেলের গুষ্ঠিদের ?
আফসোস
নবী (সা:) এর কোনো পীর ছিলো কিনা ?
বুঝা গেলো তারা সব কিছুই জেনেই হক্কানী পীরের বিরুধীতা করে ?
এবার নতুন প্রশ্ন :
নবী (সা:) তো সরাসরি আল্লাহর মুরিদ বা ছাএ ছিলেন, রাসুল (সা:) আল্লাহর কুদরতি হাতে বাইয়াত হইয়াছেন, কেননা আল্লাহ বলেন যে আপনার হাতে বাইয়াত হইল , সেই বাইয়াতে আল্লাহর কুদরতি হাত আছে ।
এর দারা স্পষ্ট বুঝা গেলো রাসুল (সা:) ও আল্লাহর কুদরতি হাতে বাইয়াত হেয়েছেন।
সত্য না মিথ্যা ?
এখন লামাযহাবীরা একটা প্রশ্ন করে :
রাসুল (সা:) কি পীর ছিলেন কিনা ?
আমি আহলে খবিশদের কাছে জানতে চাই নবী (সা:) যদি পীর বা শিক্ষক বা শায়েখ না হয় , তাহলে ছাহাবীরা (রাদি:) ইসলাম শিখলো কার থেকে ?
নাকি ১৪০০ বৎসর পরে আসা ফেতনাবাজ মতি-জাকিরের কাছ থেকে ?
এবার আসুন নবী (সা:) কাউকে বাইয়াত বা মুরিদ করাইছিলেন নাকী ?
আল্লাহ পাক বলেন:
অর্থ: যারা আপনার কাছে মুরীদ হচ্ছে তারা বস্ত্মুত আল্লাহ পাকের কাছেই মুরীদ হচ্ছে, আল্লাহ্র হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে। যারা এর অঙ্গীকার ভঙ্গ করবে, অবশ্যই সে তার ক্ষতির জন্যেই করবে। আর যে আল্লাহ পাকের সাথে মুরিদ হওয়ার অঙ্গীকার পূর্ণ করবে, অতি সত্ত্বর তিনি মহা পুরস্কার দান করবেন।
(সূরা ফাতাহ্, আয়াত ১০)
"নিশ্চয় আল্লাহ পাক ঐ সকল মু'মিনদের প্রতি সন্ত্মুষ্ট, যারা গাছের নিচে আপনার হাতে মুরিদ হয়েছে, তাদের অন্ত্মরের অবস্থা তিনি পূর্ব থেকেই জ্ঞাত। সুতরাং তাদের প্রতি নাযিল করলেন প্রশান্ত্মি, অচিরেই তাদেরকে দান করবেন বিজয়ের তৃপ্তি"।
(সূরা ফাতাহ, আয়াত নং ১৮)
"হে নবী! মু'মিন মহিলারা যখন আপনার কাছে এই শর্তে মুরিদ হতে চায়, তারা আল্লাহ পাকের সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, যিনা করবে না, সন্তান হত্যা করবে না, জারজ সন্তানকে স্বামীর সন্তান বলে মিথ্যা দাবি করবে না, নেক কাজে আপনার বিরোধিতা করবে না। এসব অঙ্গীকার পালন করার শর্তে তাদেরকে মুরিদ করুন এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ পাক অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু"।
(সূরা মুমতাহেনা আয়াত ১২)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুকরণ করা থেকে হাত সরিয়ে নিবে, কেয়ামতের দিন তার নাজাতের জন্য কোন দলিল থাকবে না। আর যে ব্যক্তি পীর-মুরিদী গ্রহণ করা ছাড়া মৃত্যুবরণ করবে তার মৃত্যু জাহেলী যুগের বেঈমানদের মত হবে।
(মুসলিম শরিফ ২ খ. ১২৮ পৃ.)
হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন শায়েখের হাতে মুরিদ হবে। সে যেন এর অঙ্গীকারও পূর্ণ করতে থাকে এবং অন্ত্মর দ্বারা পীরকে ভালবাসতে থাকে। আর যথা সম্ভব পীরের অনুকরণ ও অনুসরণ করতে থাকে।
(মুসলিম শরিফ ২ খ. ১২৬ পৃ.)
তারপরও আহলে খবিশ লামাযহাবীরা বলবে কুরআনের তো পীর-মুরীদ শব্দ নেই।তারা বলবে কুরআনের কথা উল্টানো হয়েছে।
যেমনঃ আমি আনুগত্য ও শপথের জায়গায় মুরীদ শব্দ এনেছি।
ওরা তো মুরীদ শব্দের অর্থটা জানার চেষ্টাও করে না।
তাহলে বুঝা গেলো  রাসুল (সা:) এর পীর ছিলেন আল্লাহ আর রাসুল (সা:) ছাহাবাদের (রাজী) দের পীর ছিলেন ।
এখন বলতে পারেন নবীর (সা:) জমানায়  কোনো পীর ছিলো ? অবশ্যই ছিলো ।
কারন সাহাবাদের জীবনিতে পাওয়া যায় , যখন এক বা তাহার অধিক সাহাবারা (রাদি:) রাজা নাজ্জাশির কাছে গেলো নবী (সা:) এর পএ নিয়ে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে, তখন চিঠিখানা পেয়ে রাজা নাজ্জাশি যখন মোসলমান হয়েছিলো , তখন রাজা নাজ্জাশি কালেমা পড়ে মোসলমান হয়ে সাহাবীর হাত ধরে নবী (সা:) এর তরীকার উপর বাইয়াত বা মুরিদ হয়েছিলো, তখন কি রাজা নাজ্জাশি জিহাদের বাইয়াত হয়েছিলো ?
না , ওনি হয়েছেন এছলাহের বাইয়াত, তাহলে আমাদের দেশের হক্কানী পীর সাহেবরাতো ইছলাহ এবং জিহাদের বাইয়াতী করে, এবং নবী (সা:) এর তরীকার উপরি বাইয়াত করে ,
যেমন করেছিলেন সেই সাহাবী (রাদি:) নাজ্জাশি কে বাইয়াত যেভাবে করে ।
তাহলে তোমাদের লামাযহাবী আহলে খবিশদের এতো চুলকানি কেন হক্কানী পীরদের এবং মুরিদদের নিয়ে ???
এবার আসুন নবী (সা:) কি বলে গেছেন আমার পর তোমরাও বাইয়াত করতে পারবে ?
এই যদি বলে থাকেন তাহলে কি শুধু সাহাবাদের জন্য বলেছেন নাকী কেয়ামত পর্যন্ত আনেওয়ালা মোসলমানদের জন্য ?
#রাসূলের_খলিফা কারা হবেন এবং তাদের কাজ কি হবে??
-----++++++-------+-------+--------+-----+----------++++--
হাদিস:
হযরত আবু হাজেম (রহ.) বলেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা (রা.)এর খেদমতে পাঁচ বছর ছিলাম, তিনি হাদীস শুনাতেন একদা তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাইলদের একের পর এক নবী আসতেন। কিন্তু আমার পর আর কোন নবী আসবেন না, তবে আমার অনেক খলিফা হবেন।
সাহাবা কেরাম (রা.) বললেন, তখন আমরা কি করব?
উত্তরে তিনি বললেন, আমার খলিফাগণের একের পর একের কাছে বাইয়াত হতে থাকবে এবং তাদের হকও আদায় করতে থাকবে। কেননা তাদের অধীনস্তদের আমল সম্পর্কে তাদেরকেও প্রশ্ন করা হবে।
(মুসলিম শরিফ ২ খ. ১২৬ পৃ)
হাদিস: হযরত আলি (রা.) বলেন, একদা রাসূলুল্ল্লাহ সাল্ল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করছিলেন, হে আল্লাহ! আমার খলিফাদের উপর রহম করুন। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার খলিফা কারা, যাদের জন্য আপনি রহমতের দোয়া করছেন? উত্তরে তিনি বললেন, যারা আমার পর আসবে ও হাদীসসমূহ বর্ণনা করবে এবং তা মানুষদেরকে শিক্ষা দিবে।
(হযরত আল্লামা হায়সামী (রহ.) 'মাজমাউঝ যাওয়ায়েদে' ১ খ. ১২৬ পৃ. উল্লেখ করেছেন। হযরত আল্লামা তবরানী (রহ.) 'আওসাতে' উল্লেখ করেছেন। হযরত আল্লামা ইমাম গাজ্জালী (রহ.) 'এহইয়ায়ে-উলূমিদ্দিনে' ১খ. ১১পৃ. উল্লেখ করেছেন। হযরত আল্লামা সুয়ূতী (রহ.); 'মেফতাহুল জান্নাতে' উল্লেখ করেছেন। ইমাম কাজী ইয়াজ (রহ.) 'তাকীদুস সিমা' ১৭ পৃ. উল্লেখ করেছেন, হাশিয়া দরসে তিরমিযী ১ খ. ২০ পৃ.)
এই হাদীসটি একটু ভিন্ন ভাষায় এভাবেও বর্ণিত হয়েছে, তাতে সুন্নত জিন্দাকারীদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থ : হযরত আলি (রা.) বলেন, একদা রাসূলুল্ল্লাহ সাল্ল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করছিলেন, হে আল্লাহ! আমার খলিফাদের উপর রহম করুন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার খলিফা কারা, যাদের জন্য আপনি রহমতের দোয়া করছেন? উত্তরে তিনি বললেন, যারা আমার পর আসবে ও হাদীস বর্ণনা করবে এবং আমার সুন্নত জিন্দা করবে তারাই আমার খলিফা হবে।
হাফেজে হাদীস হযরত আল্লামা আবু নুআয়েম আহমদ বিন আব্দিল্লাহ (রহ.) 'আখবারে-আসবাহানী' নামক কিতাবের ১ খ. ৮১ পৃ. এই হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
(দরসে তিরমিযী ১ খ. ২০ পৃ.)।
এর দারা প্রমান হইলো যে শরিয়া সম্মত ভাবে  যারা পীরমুরিদি করে তারা  কোরান আর হাদিসের উপর আছে।
নবীর (সা:) পীর বা শায়েখ বা মোর্শেদ বা ওস্তাদ সয়ং আল্লাহ নিযে।
আর নবী (স:) ছিলেন আল্লাহর একজন  মুরিদ বা ছাএ,এরপরে সাহাবাদের (রাদি:) দের পীর ছিলেন নবী (সা:), আর সাহাবারা (রাদি:) ছিলেন নবী (সা:) এর মুরিদ।  আর এ ভাবেই একদল হক পন্থি কেয়ামত পর্যন্ত পীর মুরিদি করে যাবে আল্লাহ এবং নবীজী (সা:) এর ঘোষনা অনুযায়ী।
এখানে বলতে পারেন , এখানেতো খলিফার কাছে বাইয়াত হতে বলা হয়েছে ?
পীরের কাছে কেনো ?
আমি তাদের বলতে চাই , আল্লাহ নবী (সা:) কে খেলাফত বা অনুমতি দিছেন যে আল্লাহ পাক বলেনঃ
اِنَّ الَّذِيْنَ يُبَايِعُوْنَكَ اِنَّمَا يُبَايِعُوْنَ اللهَ يَدُاللهِ فَوْقَ اَيْدِيْهِمْ فَمَنْ نَّكَثَ فَاِنَّمَا يَنْكُثُ عَلى نَفْسِهِ وَمَنْ اَوْفَى بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللهَ فَسَيُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمًا (سورة الفتح آيت ১০)
অর্থ: যারা আপনার কাছে মুরীদ হচ্ছে তারা বস্তুত আল্লাহ পাকের কাছেই মুরীদ হচ্ছে, আল্লাহর  হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে। যারা এর অঙ্গীকার ভঙ্গ করবে, অবশ্যই সে তার ক্ষতির জন্যেই করবে। আর যে আল্লাহ পাকের সাথে মুরিদ হওয়ার অঙ্গীকার পূর্ণ করবে, অতি সত্ত্বর তিনি মহা পুরস্কার দান করবেন।
(সূরা ফাতাহ্, আয়াত 10)
"নিশ্চয় আল্লাহ পাক ঐ সকল মু'মিনদের প্রতি সন্ত্মুষ্ট, যারা গাছের নিচে আপনার হাতে মুরিদ হয়েছে, তাদের অন্ত্মরের অবস্থা তিনি পূর্ব থেকেই জ্ঞাত। সুতরাং তাদের প্রতি নাযিল করলেন প্রশান্ত্মি, অচিরেই তাদেরকে দান করবেন বিজয়ের তৃপ্তি"।
(সূরা ফাতাহ, আয়াত নং ১৮)
"হে নবী! মু'মিন মহিলারা যখন আপনার কাছে এই শর্তে মুরিদ হতে চায়, তারা আল্লাহ পাকের সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, যিনা করবে না, সন্তান হত্যা করবে না, জারজ সন্তানকে স্বামীর সন্তান বলে মিথ্যা দাবি করবে না, নেক কাজে আপনার বিরোধিতা করবে না। এসব অঙ্গীকার পালন করার শর্তে তাদেরকে মুরিদ করুন এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ পাক অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু"।
(সূরা মুমতাহেনা আয়াত ১২)
তাহলে এখন পরিষ্কার হলো যে, আল্লাহ নবীজী (সা:) কে বাইয়াত করতে বলেছেন (এখানে কিন্তু সবাইকে বলা হয়নি ) তাদেরকে, যারা নবীজী (সা:)এর কাছে বাইয়াত হতে চায় ।
আর নবীজী (সা:) তাদেকেই খলিফা বানাইছেন যারা নবীর (সা:) এর হাতে হাত রেখে সপথ বা বাইয়াত বা মুরিদ হইছেন ।
আর তাদের মধ্যে তাদের থেকে কয়েকজনকে খলিফা বা প্রতিনিধি বা পীর নির্ধারণ করে পাঠিয়েছেন, যেমন রাজা নাজ্জাশির কাছে, ইয়েমেনের গভর্নর করে এক সাহাবীকে খেলাফত দিয়ে পাঠিয়েছেন , আবার অনেক সাহাবী পীর হয়ে অন্য এলাকায় গিয়ে ইসলাম শিক্ষা দিতেন নবীজী থাকা অবস্থিাতেই, এর দারা আমরা নবীর তরিকায় যে আছি , আলহামদুলিল্লাহ , তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
তার প্রমাণ নিম্নে বর্ণিত হাদীসটির প্রতি লক্ষ্য করুন, যাতে খলিফা ও প্রতিনিধি হিসেবে সাহাবা কেরাম (রা.)ও পীর-মুরিদীর মাধ্যমে ঈমানী সত্যতা যাচাই করতেন।
আর সাহাবা কেরাম (রা.)এর পীর-মুরিদীর মাধ্যমে সে যুগের মানুষরাও নিজেদের ঈমান ও ইসলাম গ্রহণ করার বিষয়টি প্রমাণ করতেন।
যেমন:
অর্থ : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হযরত নাজ্জাশী (রা.) পত্র লিখলেন, 'বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহিম' এ পত্রটি নাজ্জাশী আসহাম বিন আবহার এর পক্ষ থেকে মোহাম্মদ রাসূলুল্লাহ এর নিকট। হে নবী! আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে আপনার প্রতি রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। 'লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া' আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহা ও মাবুদ নেই। আল্লাহ পাকই আমাকে ইসলামের দিকে হেদায়েত দান করেছেন। হে আল্লাহর রাসূল! আপনার পক্ষ থেকে আমার নিকট পত্রটি পৌঁছেছে। তাতে আপনি হযরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন, আসমান ও জমিনের রবের কসম করে বলছি, তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতেন না। আপনার প্রেরিত পত্রের মর্ম বুঝতে আমি সক্ষম হয়েছি।
আপনার চাচাতো ভাই ও তার সাথীদেরকে যথা সম্ভব আপ্যায়ন করেছি। সুতরাং আমি এই মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহ পাকের সত্য রাসূল, আপনার চাচাতো ভাইয়ের হাতের মাধ্যমে আপনার কাছে মুরিদ হয়ে রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য ঈমান গ্রহণ করেছি।
(দালায়েলুন-নবুওয়্যাহ ২খ. ২৮৮ পৃ. হাদীস নং ৬০৩).
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাইলের একের পর এক নবী আসতেন, কিন্তু  আমার পর আর কোন নবী আসবেন না। তবে প্রতি যুগে আমার অনেক প্রতিনিধি ও খলিফা আগমন করবেন। এ কথা শুনে সাহাবা কেরাম (রা.) বললেন, তখন আমরা কি করব?
উত্তরে তিনি বললেন, আমার খলিফাগণের কাছে মুরিদ হতে থাকবে ও তাদের কাছে মুরিদ হওয়ার হকও আদায় করতে থাকবে এবং তাদের প্রাপ্য হকও দিতে থাকবে। কেননা তাদের অধীনস্তদের সম্পর্কে কেয়ামতের দিন তাদেরকেই জবাবদিহী করতে হবে।
(মুসলিম শরিফ ইমারাত অধ্যায় ২খ. ৬২১পৃ.)
অর্থ : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুকরণ করা থেকে হাত সরিয়ে নিবে, কেয়ামতের দিন তার নাজাতের জন্য কোন দলিল থাকবে না। আর যে ব্যক্তি বাইয়াত গ্রহণ করা ছাড়া মৃত্যুবরণ করবে তার মৃত্যু জাহেলী যুগের বেঈমানদের মত হবে।
(মুসলিম শরিফ ২ খ. ১২৮ পৃ.)
অর্থ : হযরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্ল্লাহ সাল্ল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বাইয়াত না হয়ে মরবে সে কাফেরদের মত মরবে।
(মুসনাদে আহমাদ, কানযুল উম্মাল ১খ.৬৬ পৃ.)
অর্থ : হযরত মুয়াবিয়া (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি শায়েখের তত্ত্বাবধানে থাকা ছাড়া মরবে, সে বেঈমান হয়ে মরবে।
(আহমদ ৪ খ. ৯৬ পৃ.)
অর্থ : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল-াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের আনুগত্য করা ছাড়া মৃত্যুবরণ করবে, তার নাজাতের কোন উপায় থাকবে না। আর যে ব্যক্তি বাইয়াত হওয়া থেকে হাত সরিয়ে রাখবে এবং বাইয়াত হওয়া ছাড়া মরবে সে গোমরাহী অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করবে।
(আহমদ ২ খ. ১১১ পৃ.)
আলাহর রাসুল সা: নারি দেরকেও বাইয়াত করাতেনঃ
হযরত উমাইমা বিনতে রুকাইকা রা. থেকে বাইয়াত সংক্রান্ত একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে  যে, নারীগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদের প্রতি আমাদের নিজেদের  চেয়েও মেহেরবান। সুতরাং আপনার হাত মোবারক দিন, আমরা বাইয়াত হই।  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি নারীদের সাথে হাত মিলাই না।  (যা মুখে বলেছি তা মেনে চলাই তোমাদের জন্য অপরিহার্য)।
(-মুয়াত্তা মালিক)
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আল্লাহর কসম! বাইয়াতের সময় তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) হাত কখনো কোনো নারীর হাত স্পর্শ করেনি। তিনি শুধু মুখে বলতেন, তোমাকে বাইয়াত করলাম।
(-সহীহ বুখারী ২/১০৭১)
৪ মাযহাবের ইমামরাও পির মুরিদি তরিকার উপর ছিলেন:
শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম পৃষ্টা নং ১২ উক্ত কিতাবের ১৩ নং পৃষ্টাতে হযরত জাকারিয়া রাহ:
লিখেছেন যে ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর মতে ফেকাহ
ও শরীয়াত অর্থাৎ জাহেরী ও বাতেনি ফেকাহ ও সরিয়াত হলো নফসের উপকারী ও ক্ষতিকর বিসয়-বস্তু সমূহের ইলম হাসিল করা( এর দ্বারা ইশারা হলো বাতেনি ইলম ও তাসাউফের ইলম হাসিল করা)।
এর ব্যাখ্যাতে  লিখেছেন যে :- হানিফা (রহ) সয়ং নিজে একজন পীর ছিলেন ৷ তিনি বাতেনি ইলমের ইমাম ও ওনেক বড় বুজুর্গ ছিলেন ৷ কেননা সুলুক বা এহসান অথবা পীর মুরিদী ও তাশাউফেরই বাতেনি ইলম দ্বারা নফসের ভালো মন্দ বিসয় সমূহের আলোচনা করা হয় ৷
আর খারাপ চরিত্র সমূহ দুউর করে উত্তম চরিত্রসমূহ হাসিল করতে হয় ৷ কেন না ইমাম আবু হানিফা (রহ) সয়ং একজন হক্কানী পীর ও শায়েখ হওয়ায় সে যুগের সকল পীর ও মাশায়েখদের সর্দার ছিলেন ৷
যেমন  আছে যে ইমাম আবু হানিফা (রহ ) বলেন কিছু নাস্তিক লোক আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব সমন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন যে আমি একটা ঘটনা সুনে চিন্তিত হয়ে পরেছি তা তোমরা ও শোন।
লোকেরা আমাকে বলল যে একটা বেবসার মাল ভর্তি নৌকা যার কোনো মাঝি মাল্লা নাই যার কোনো রক্ষক নাই। সে নৌকা খানি মাল পত্র নিয়ে একা একা চলাফেরা করে এবং সমুদ্রের তুফান পেরিয়ে একা একাই গন্তব্যে পৌছে যায়। সে নৌকার হেফাজত কোনো মানুষ করে না এবং সে নৌকাকে কোনো মানুষের চালানোর প্রজন পরে না।
এই কথা শুনে নাস্তিকরা বলল যে এই  কথা কোনো জ্ঞানী লোক বলতে পারে না। তখন ইমাম সাহেব বলেন ধংস হক তোমরা আর তোমাদের বিবেক। একটা সামান্য নৌকা যদি তার মাল পত্র নিয়ে নিজে নিজে চলতে না পারে তা হলে এই পৃথিবীর বুকে এত কিছু নিয়ে পৃথিবী টা কি ভাবা একা চলতে পারে ?
তখন সকল নাস্তিক তওবা করে ইমাম সাহেবের হাতে মুরিদ হয়ে মুসলিম হল। 
(ফাতহুল মুল্হামে এর ১ খ ১৬৩ নং পৃষ্টায় বর্ণিত হয়েছে)
ইমাম  মালেক (রহ) তার জামানার মুজতাহিদ ইমাম গনের জন্য গর্ব ছিলেন এবং হজরত ইমামে মালেক (রহ) সে যুগের তরিকতের পীর মাশায়েখের ও অতি উত্তম ইমাম ছিলেন।
(মুয়াত্তা ইমাম মালেক ২৯২ নং পৃষ্টা )
উপরে বর্ণিত কথাটা জাকারিয়া সাহেব তার কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) এর ১৭ নং পৃষ্টায় তুলে ধরেন আর তার বেক্ষা করতে গিয়ে লেখেন যে ;-
ইমামে মালেক (রহ) জাহেরী বাতেনি ইলম এর ইমাম ছিলেন এবং সে যুগের অধিকাংশ ওলামাগণের ইমাম ছিলেন। আরো জেনে রাখা প্রয়োজন যে ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম হাম্বল (রহ) ইমাম মালেক (রহ) এর ছাত্র ও মুরিদ।
অর্থাত মুজতাহিদ ইমামগণ ও তার হাতে বাইয়াত ও মুরিদ হয়ে ও মালেক (রহ) এর সহ্বতে থেকে জাহেরী ও বাতেনি শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তার মূল ইলম হলো নবুয়াতের ইলম যার মাধমে তিনি বিশ্ব বাসীর বড় মুজতাহিদ ইমাম হয়েছিলেন। আর ইমাম মালেক (রহ )
বিষয়ে নবী পাকের হাদিস আছে যে মানুষ এই ইলম এর তালাশ করতে দূর থেকে দুরে যাবে কিন্তু মদিনার আলেমদের চেয়ে বড় আলেম কোথাও পাবে না।
তো সকল মুজতাহিদ গনের কথা থেকে  বোঝা যায় যে তরিকত ও শরীয়াত এক ও অভিন্ন। এর পর জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে আমরা দুকলম মাদ্রাসা পড়ুয়ারা ইলমের ঠেলায় তরিকত কে চোখে দেখি না। অথচ মুজতাহিদ ইমাম গণ তারিকাতের ইমাম ছিলেন। তারা শরীয়াত ও তরিকত কে পার্থক্য করতেন না। তারা উভয় কে সমপর্যায় রাখতেন।
(শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম পৃষ্টা ১৭)
ইমাম হাম্বল (রহ ) এর মতে ইমান হলো  নবীর তরিকায় মুরিদ হওয়া ও নবীর আদেশ নিষেদ পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা ৷ মুরিদ হওয়া একটা বিষয় হলে ও ইমান ,ইসলাম , শরীয়াতের সকল বিষয় এর ভিতর আছে ৷ সুতরাং যে ব্যক্তি শরিয়াত মানবে না আর গোনাহ করবে সে তার মুরিদ হওয়ার সকল অঙ্ঘিকার ভঙ্গ করবে ৷ অবশ্যই তার ইমান ও কমতে থাকবে ৷
( ফয়জুল বারী , সরহে বুখারী ১ খ ৪৮ নং পৃষ্টা)
পীর ভাল না খারাপ তা মাপার মাপকাঠি শুধু সিলসিলার নিসবত নয়, বরং ইলম, আমল, তাকওয়া, ইখলাস, কুরআন ও হাদীসের অনুসরণ-অনুকরণ, এক কথায় শরীয়ত ও সুন্নতের অনুসরণের ভিত্তিতে পীর সাহেবেকে যাচাই করতে হবে।
উক্ত মাপকাঠিতে যদি উক্ত পীর উত্তীর্ণ হন, তাহলে তিনি প্রকৃত পীর। নতুবা ভন্ড। ঈমান বিধ্বংসী শয়তানের দোসর।
এখন যা লিখলাম তা কোরান হাদীসের দলিল দিয়ে লিখেছি, তারপরেও যদি বলে পীর মুরিদি ইসলামে নাই তারা আল্লাহর কোরানের ভাষায় তারা ঘোমরা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেও বিভিন্ন সাহাবা কেরাম (রা.)ও পির মুরিদি করতেন।
অতএব যে সকল ভাইগন বলে থাকেন হক্কানী ওলামায়েকেরামের কাছে বাইয়াত হওয়ার কোনো ভিত্তি নাই তারা যেনো রাসূলুল্ল্লাহ সাল্ল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই বাণীসমুহ ভালো করে অনুধবন করেন । আল্লাহ পাক আমাদেরকে সহি দ্বীন বোঝার তৌফিক দান করেন , আমিন ।

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!